পাহাড়ে উড়ল সবুজ আবির। টানাপোড়েনের জিটিএ নির্বাচনে খাতা খুলল তৃণমূল। বোর্ড গঠন অনীত থাপার। পাহাড়ের মানুষকে অভিনন্দন মমতার। ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। ১ লক্ষের দোরগোড়ায় পৌঁছল দেশের অ্যাকটিভ কেস। একদিনে রাজ্যে আক্রান্ত ১৪২৪ জন। সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা। কেন্দ্রের অসহযোগিতার জের। আপাতত বন্ধ বাংলার বাড়ি প্রকল্পে নাম নথিভুক্তিকরণ, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। সরব সিবিআই-এর অতিসক্রিয়তা নিয়েও।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 জুন 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিকাশরঞ্জনকে তোপ মমতার, পালটা বাম নেতার
বিস্তারিত খবর:
1. জিটিএ নির্বাচনে জয়জয়কার তৃণমূলের। প্রায় দশ বছর পর জিটিএ নির্বাচন নিয়ে রীতিমতো টানাপোড়েন চলেছিল পাহাড়ে। আর সেখানেই এবার উড়ল সবুজ আবির। ডালি আসন দিয়েই এদিন পাহাড়ে খাতা খোলে তৃণমূল। ৫০০ ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী বিনয় তামাং। গণনা শেষে দেখা গিয়েছে, অনীত থাপার গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা মোট পেয়েছে ২৭টি আসন। তৃণমূল পেয়েছে ৫ টি আসন। হামরো পার্টির দখলে ৮টি আসন। এদিকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৬২টি আসনের মধ্যে ইতিমধ্যেই তৃণমূল জিতেছে ৩১১টি। বিজেপি ৭৪টি, সিপিএম ১২ ও কংগ্রেস ১৬ আসনে ও অন্যান্যরা ১১টি আসনে জিতেছে। জয়ের পরই তৃণমূল সুপ্রিমো ও তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিনয় তামাং। পাহাড়ের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও।
পাশপাশি রাজ্যের ৬টি পুরসভার উপনির্বাচনেরও ফল প্রকাশ হল এদিন। চারটি আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। একটিতে জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী। অন্য একটি গিয়েছে বামেদের দখলে। ঝালদার উপনির্বাচনে জয়ী হন নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো কংগ্রেস প্রার্থী মিঠুন কান্দু। পানিহাটির উপনির্বাচনে জিতলেন মৃত অনুপম দত্তের স্ত্রী অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মীনাক্ষী। ফল প্রকাশের পরই জানালেন, স্বামীর বাকি থাকা কাজ সম্পূর্ণ করবেন তিনি। দক্ষিণ দমদমে জয়ী তৃণমূল। ভাটপাড়া উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কনকলতা দাস। এদিকে চন্দননগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন বাম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। ৩২ বছর পর এই ওয়ার্ডে জয় পেল বামেরা।
2. আবার চোখ রাঙাচ্ছে মারণ ভাইরাস করোনা। জনতা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে না ফিরতেই ফের ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৪২৪ জন। যেখানে মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ৯৫৪। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা। একদিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮৯ জন। তার ঠিক পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে সংক্রমিত ৩৮৮ জন। তৃতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ জন।
গোটা দেশের নিরিখেও করোনার গ্রাফ রীতিমতো উদ্বেগজনক। বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪,৫০৬ জন। গতকাল যে সংখ্যাটা নেমে গিয়েছিল ১২ হাজারের নিচে। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি বাড়ল অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে দেশের সক্রিয় রোগী বেড়ে হয়েছে ৯৯ হাজার ৬০২। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন। এসবের মাঝেই একমাত্র স্বস্তি সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১১,৫৭৪ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৬ শতাংশ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।