‘বাংলা আবাস যোজনা’র প্রাপ্য টাকা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। সুরাহা না হলে নিজেই যাবেন দিল্লিতে। গ্রেপ্তার করা হোক বিজেপিতে আশ্রয় নেওয়া চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্তদেরও। কলকাতায় সিবিআই দপ্তরের সামনে ধরনা তৃণমূল নেতৃত্বের। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন জমা যশোবন্ত সিনহার। বিধানসভার PAC চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা মুকুল রায়ের। মুক্তি পাচ্ছেন বিতর্কিত ইউটিউবার রোদ্দুর রায়।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 25 জুন 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- খাস কলকাতায় হাসপাতালের আট তলা থেকে ঝাঁপ, মৃত্যু রোগীর
বিস্তারিত খবর:
1. ‘বাংলা আবাস যোজনা’ বিতর্কে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, যদি আবাস যোজনার টাকা না পাওয়া যায়, তাহলে তিনি নিজেই যাবেন দিল্লিতে। এর আগে এই বিষয়ে মত স্পষ্ট করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ হিসাবে উল্লেখ না-করলে, অর্থাৎ প্রকল্পের নামে ‘বাংলা’ থাকলে, প্রকল্প বাবদ মঞ্জুর টাকা মিলবে না। এ বিষয়ে নবান্নকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। এদিন তার জবাব দিয়ে মমতা জানান, ‘যে কোনও রাজ্যের নামে বাড়ি থাকবে। গুজরাট, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের নামে যদি থাকে, বাংলায় থাকলে কীসের আপত্তি?” সমস্যা সমাধানের জন্য এর আগে প্রতিনিধি দলকে দিল্লিতে পাঠিয়েছিলেন, সে-কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলার বাড়ি, সড়ক যোজনায় টাকা আটকে রাখা হয়েছে। আমি সাংসদদের একটা প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম। দেখি কী করছে, নইলে আমাকেও দিল্লি যেতে হতে পারে সমস্যা সমাধানের জন্য।” পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের টাকা না-পাওয়া নিয়েও বঞ্চনার অভিযোগে এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রকে তিনি সাফ জানান, হয় এই টাকা দিক, নইলে বিজেপি বিদায় নিক। বাংলা আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজ নিয়ে এদিন কেন্দ্রকে স্পষ্ট ও কড়া বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এদিন অগ্নিবীরদের চার বছরের চুক্তির চাকরি নিয়েও কেন্দ্রকে কড়া সমালোচনায় বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
2. কিষান মান্ডির বেনিয়ম নিয়ে ফের কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চাষিদের থেকে ধান কেনা না হলে, এবার এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিলেন তিনি। সোমবার বর্ধমানে প্রশাসনিক কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি কিষান মান্ডি নিয়ে কিছু কিছু অভিযোগ পাচ্ছি। সরকার কৃষকদের থেকে ধান কেনার ঘোষণা করেছে। অথচ কিছু কিষান মান্ডি ধান কিনছে না। চাষিরা ধান বিক্রি করতে এলে ফিরিয়ে দিচ্ছে। সময়মতো কাজ করছে না।” এরপরই এরকম পরিস্থিতিতে এফআইআর-এর নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি এই অভিযোগ পেলে পুলিশ যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, সে নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মাটি উৎসবের সূচনা মঞ্চ থেকে একাধিক প্রকল্পের খাতে কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সর্বমোট ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মনে করিয়ে দিলেন, কৃষকদের স্বার্থে সবসময় সক্রিয় রাজ্য সরকার। কৃষকদের স্বার্থ বিঘ্নিত হলে যে রাজ্য কড়া পদক্ষেপ করবে, অভিযুক্তদের ছেড়ে কথা বলবে না, তা এদিন কার্যত স্পষ্টই করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এদিন তিনি দেখা করেন নার্স রেনু খাতুনের সঙ্গে। সভায় টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা দেখা করতে এলে কথা বলেন তাঁদের সঙ্গেও। তাঁদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।