রক্তদান করতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু পড়লেন অদ্ভুত এক প্রশ্নের মুখে। ‘আপনি কি গর্ভবতী?’ – প্রশ্ন ধেয়ে এল এক পুরুষের দিকে। অবাক হচ্ছেন! একইরকম অবাক বোধহয় হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি নিজেও। তারপর…? আসুন শুনে নিই, তারপর ঠিক কী ঘটল।
রক্তদান একরকম জীবনদানেরই শামিল। এই কথা মাথায় রেখে, গত ৫০ বছর ধরেই রক্ত দান করে আসছেন এক ব্যক্তি। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬৬। এই বয়সেও রক্তদানে পিছপা নন তিনি। কিন্তু এই বয়সে এসে এমন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি তিনি হলেন, যার সমতুল্য অভিজ্ঞতা জীবনে তাঁর কখনও হয়নি। ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুতও বটে।
আরও শুনুন: পঞ্চায়েতের সচিবজির ‘তিন বউ’ লড়ছেন ভোটে, ব্যাপার দেখে চক্ষু চড়কগাছ কর্তৃপক্ষের
ঘটনাটি ঘটেছে স্কটল্যান্ডের একটি শহরে। সিনক্লেয়ার নামে জনৈক প্রবীণ মুখোমুখি হলেন এক আজব সমস্যার। নিয়মিত রক্তদানের সুবাদে তিনি হাজির হয়েছিলেন শহরের একটি মেডিক্যাল সেন্টারে। প্রতিবারের মতো এবারও তাঁকে দেওয়া হয় একটি ফর্ম। রক্তদাতার বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি নিয়েই প্রশ্ন থাকে সেখানে। তবে এই সেন্টারের ফর্ম-টিতে এমন এক প্রশ্ন ছিল, যা নিয়ে বাধল বিপত্তি। ফর্মে জানতে চাওয়া হয়, রক্তদাতা গর্ভবতী কি-না। সঙ্গত ভাবেই এ প্রশ্নের উত্তর দেননি বৃদ্ধ। বরং অবাক হয়েই তিনি সেখানকার এক কর্মীকে জানান, তাঁর ক্ষেত্রে এই প্রশ্ন এবং এর উত্তর দেওয়া- দুই-ই অবান্তর, অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু কর্মীটি জানান, ফর্মে যা যা জানতে চাওয়া হয়েছে, সেই সবকিছুই তাঁকে জানাতে হবে। অর্থাৎ তাঁকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে অন্যথায় তাঁর রক্ত নেওয়া হবে না। একথা শুনে বেশ রেগেই যান সিনক্লেয়ার। সরাসরি জানিয়ে দেন তাঁর পক্ষে এমন অবান্তর প্রশ্নের উত্তর দেওয়া অসম্ভব। এবং ঠিক এই কারণেই তাঁর আর রক্তদান করা হল না। ছেদ পড়ল তাঁর পাঁচ দশকের রীতিতে।
আরও শুনুন: কাজ বলতে পর্ন দেখা, বেতন আকাশছোঁয়া, এমনই মজার চাকরি পেলেন তরুণী
ঘটনা প্রসঙ্গে স্কটিশ ন্যাশানাল ব্লাড ব্যাংকের ডিরেক্টর জানান, প্রত্যেক রক্তদাতার কাছে এই প্রশ্ন করা হয় কিছু বিশেষ কারণের জন্যই। দীর্ঘদিন রক্তদানের জন্য প্রথমেই তিনি সিনক্লেয়ারের প্রশংসা করেন। তারপর বলেন অনেক সময় কোন মহিলা গর্ভবতী কি-না তা তাঁর শারীরিক গঠন থেকে বোঝা যায় না। তাই এরকম প্রশ্ন ফর্মে থাকে। যেহেতু সকলকেই এক-ই ফর্ম ফিলাপ করতে হয়, তাই সিনক্লিয়ারের ফর্মেও এরকম প্রশ্ন ছিল। শুধুমাত্র ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-তেই উওর দেওয়া যেত এই প্রশ্নের। তাতে সিনক্লেয়ার কেনই বা এত রেগে গেলেন, তা বুঝে উঠতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
তবে এই গোলমালে পড়ে রক্ত দান করা আর হল না বৃদ্ধের। ৫০ বছরের অভ্যাস ভেস্তে গেল একখানা প্রশ্নের খোঁচাতেই।