কত রকমের আশ্চর্য চাকরির কথাই তো শুনেছেন। কেই পান শুধু ঘুমানোরজন্য বেতন, কেউ আবার আয় করেন শুধু ভালমন্দ খেয়ে। ফুড টেস্টার বা ওয়াইন টেস্টারদের বেতনের কথা শুনলে চোখ কপালে উঠবে অনেকেরই। তবে শুধুমাত্র নীল ছবি দেখার জন্য বিপুল অঙ্কের বেতন দিয়ে কর্মী নিয়োগের কথা শুনেছেন কি? এমন আজগুবি চাকরিও হয় পৃথিবীতে। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
স্কুল জীবনে পড়ার বইয়ের পিছনে লুকিয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের বই বা ছবি দেখেছে বহু ‘লাস্টবেঞ্চারই’। অফিস জীবনেও পৌঁছেও সেই অভ্যাস যায়নি এমনও শোনা যায়। পর্ন ছবির নেশায় জীবন বরবাদ করেছেন, এমন মানুষও বিরল নন। কিন্তু ধরুন যদি এমনটা হয়, কাউকে চাকরিই দেওয়া হল শুধুমাত্র পর্ন ছবি এবং ভিডিও দেখার জন্য। আর হ্যাঁ, সেই কাজের জন্য যথাযথ বেতনও পাবেন সেই কর্মী।
অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই শুনে। কিন্তু এমন আশ্চর্য চাকরিও রয়েছে এই দুনিয়ায়। শুনলে আরও অবাক হবেন, এই চাকরির জন্য আবেদন করছিলেন অন্তত ৯০ হাজার জন। যেখানে থেকে সম্প্রতি নির্বাচিত হয়েছেন এক ২২ বছরের কন্যা। আর এই চাকরি করে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় দেড় হাজার টাকা করে উপার্জনের সুযোগ রয়েছে তাঁর কাছে।
আরও শুনুন: পুরুষ নয়, স্বামী আসলে নারী! বিয়ের ১০ মাস পরে বুঝতে পেরে হতবাক স্ত্রী
ভাবছেন তো, কোথায় মেলে এমন মজার চাকরি? আমেরিকায় রয়েছে এমনই একটি এথিক্যাল সেক্সসাইট। না, এই সাইট একেবারেই বেআইনি নয়। বরং যৌনতা বিষয়ক গবেষণার জন্যই রয়েছে এই বৈধ সাইটটি। সেই সাইটের জন্যই পর্ণ গবেষক দরকার ছিল ওই সংস্থার। আর স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা ২২ বছরের রেবেকা ডিকসন সম্প্রতি নিযুক্ত হন সেই পদেই।
ঠিক কী কী করতে হবে রেবেকাকে? বিশেষ কিছুই না। পর্ন ভিডিও দেখে এবং বুঝে সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য একত্রিত করে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা করতে হয় সংস্থার কাছে। আর সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে যৌনতা সম্পর্কে নতুন নতুন গবষণা। রেবেকার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল, পর্নহাব থেকে একশোটি জনপ্রিয় ভিডিও বেছে নিয়ে সেখান থেকে রিপোর্ট তৈরি করা। কথায় বলে, মনের মতো কাজ পেলে, সেই কাজ আর কাজ থাকে না। বরং খেলা হয়ে যায়। আর সেই ব্যাপারটাই ঘটেছে রেবেকার ক্ষেত্রে।
আরও শুনুন: ‘নারী যৌন ইচ্ছার কারণ’! আয়ুর্বেদ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে চাওয়া হল এর ব্যাখ্যা, ঘনাল বিতর্ক
তাঁর কথায়, পর্ন দেখার জন্য যদি কেউ বেতন পান, তাহলে কে-ই বা সেই কাজে না করবেন! আর যে সে বেতন তো নয়। মাসের শেষে যে অঙ্কটা তাঁর হাতে আসে, তা ঈর্ষনীয় বললে ভুল বলা হবে। স্কটল্যান্ডের একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা রেবেকার কাছে তাই এই চাকরি হাতে চাঁদ পাওয়ার মতোই।
এমনিতেই যৌনতা নিয়ে সমাজে ট্যাবুর শেষ নেই। সেই রক্ষণশীলতা ভেঙে তিনি যে যৌনতার ক্ষেত্রে নতুন নতুন দিশা খুঁজে আনতে পারছেন, তার জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন রেবেকা। আর গোড়া থেকেই এসব ব্যাপার নিয়ে যথেষ্ট প্রগতিশীল রেবেকা। নতুন কিছু চেষ্টা করতে বা তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কোনও দিনই অসুবিধা হয় না তাঁর। নিজের পেশা নিয়ে তাই এতটুকু দ্বিধাবোধ নেই তাঁর। নেই লোকলজ্জার ভয়ও। বরং তাঁর জন্য এই চাকরি ‘আদর্শ’ বলেই মনে করেন রেবেকা।