দুর্গাপুর থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব মমতা। নাম না করে অভিষেককে আক্রমণ রাজ্যপালের।রিজার্ভ ব্যাংকের পরিসংখ্যান তুলে মোদিকে তোপ তৃণমূলের। মিলল নেপালের মাঝ আকাশে উধাও বিমানের ধ্বংসাবশেষ। বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবিলায় তৎপর ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে উঠে যাচ্ছে জৈব বলয়।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 27 মে 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- সরকারি কাজে দুর্নীতি রুখতে অস্ত্র ড্রোন, ড্রোন মহোৎসবে জানালেন মোদি
বিস্তারিত খবর:
1. জেলাসফর করে জনসংযোগে জোর দেওয়াকেই পাখির চোখ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রেই আপাতত দুর্গাপুরে তিনি। সোমবার সেখান থেকেই পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে পৌঁছে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বাঁকুড়ায় জোড়া বৈঠক। আর সব ঠিকঠাক থাকলে জুনের গোড়াতেই, অর্থাৎ GTA নির্বাচনের আগেই উত্তরবঙ্গে যাবেন বলে জানালেন মমতা।
রবিবার দুর্গাপুরে দাঁড়িয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এর প্রতিবাদে দলীয় কর্মসূচিও বেঁধে দেন তিনি। বলেন, “আমাদের দলের ব্লক স্তরে, বুথ স্তরে ছাত্র সংগঠন, যুব সংগঠন, মহিলা, খেতমজুর, তপশিলি জাতি-উপজাতি, অনগ্রসর শ্রেণি, সংখ্যালঘু সেল সবাই একযোগে প্রতিবাদ মিছিল করবে আগামী ৫ ও ৬ জুন। ১০০ দিনের টাকা কেন পাচ্ছে না বাংলার শ্রমিকরা, প্রধানমন্ত্রী জবাব দাও– এই দাবি উঠবে মিছিল থেকে।”
এদিন দুর্গাপুরে দাঁড়িয়ে লোকসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহাকে জেতানোর জন্য আসানসোলবাসীকে ধন্যবাদ জানান মমতা। উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। এর পাশাপাশি জুনের শেষ সপ্তাহে বর্ধমান ও আসানসোলে জনসভার পরিকল্পনার কথাও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. কাজের এক্তিয়ার, বক্তব্য পেশ কিংবা প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে কার সীমা কতটা, এবার তা নিয়ে পরোক্ষে বাকযুদ্ধে জড়ালেন রাজ্যপাল ও সাংসদ। রবিবার শিলিগুড়িতে পা রেখেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিকেলেই তার পালটা দিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ।
শনিবার হলদিয়ায় শ্রমিক সমাবেশের মঞ্চ থেকে বিচারপতিদের একাংশের দিকে আঙুল তুলেছিলেন অভিষেক। সে প্রসঙ্গেই নাম না করে সাংসদকে বিঁধেছিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছিলেন, “এসএসসি মামলায় সিবিআই নির্দেশ দিয়েছেন যে বিচারপতি, তাঁকে আক্রমণ করা নিন্দনীয়। একজন সাংসদ যাবতীয় সীমা ছাড়িয়েছেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বেনজির আক্রমণ করেছেন।” এর জন্য মুখ্যসচিবকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন রাজ্যপাল। এদিন রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বদল নিয়েও মুখ খুললেন রাজ্যপাল। এই চেষ্টাকে এসএসসি দুর্নীতি মামলা থেকে নজর ঘোরানোর কৌশল বলেই দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে টুইটে তাঁকে পালটা দেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, “আমি সত্যি কথা বলতে পছন্দ করি। আগের দিন আমি বিচারব্যবস্থার অন্তর্গত ১ শতাংশ মানুষের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি, কোনও ব্যক্তিকে নিয়ে কিছু বলিনি। এখন মানুষই দেখুন, কে সীমারেখা অতিক্রম করছে।” এই ঘটনায় আরও প্রকট হল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।