সহিষ্ণুতাকে ধর্মের পরিপন্থী বলে মনে করেন আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন। জ্ঞানবাপী মামলায় বাদী পক্ষের হয়ে সওয়াল করছেন এই আইনজীবী। আর সেই পরিস্থিতিতে সামনে এল তাঁর এই পুরনো বক্তব্যটি। ঠিক কী বলেছিলেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কে সরগরম দেশ। ধর্মীয় বাকবিতণ্ডা ছাড়িয়ে আপাতত আইনি পথে হাঁটছে বাদী ও বিবাদী পক্ষ। এই মামলায় বাদী পক্ষের হয়ে লড়ছেন আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন। সম্প্রতি সামনে এল তাঁর একটি পুরনো বক্তব্য। যেখানে তিনি স্পষ্টই বলেছিলেন, সহিষ্ণুতাকে একরকম অভিশাপ বলেই মনে করেন তিনি।
আরও শুনুন: জ্ঞানবাপীর আঁচ কর্ণাটকেও, মসজিদের ভিতরে হনুমান উপাসনার আরজি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের
ঠিক কী বলেছেন ওই আইনজীবী?
২০১৭ সালের ৩১ জুলাই তারিখে একটি টুইট করেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি সাফ বলেছিলেন, যে কোনও ধর্মকে রক্ষা করতে হলে কঠোর হতে হবে, এমনটাই তাঁর বিশ্বাস। তিনি আরও বলেছিলেন, অস্তিত্বরক্ষার জন্য প্রয়োজন রক্ষণশীলতা। সহিষ্ণুতা আদতে অভিশাপ এবং তা ধর্মের পরিপন্থী, এমনটাই তিনি মনে করেন বলে ওই টুইটে জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি জ্ঞানবাপী ইস্যুতে ফের সামনে এল তাঁর করা সেই টুইটটি।
আরও শুনুন: হিন্দু রাজার জমিতেই গড়ে উঠেছিল তাজমহল, কীসের বিনিময়ে পেয়েছিলেন শাহজাহান?
দেবত্ব ইস্যুতে এর আগেও একাধিক মামলায় ফরিয়াদি কিংবা আইনজীবী হিসেবে অংশ নিয়েছেন হরিশঙ্কর জৈন। হিন্দু কিংবা জৈন দেবদেবী সম্পর্কিত অন্তত ১২টি মামলায় যুক্ত ছিলেন তিনি। এমনকি রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলাতেও হিন্দু মহাসভার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। একইভাবে জ্ঞানবাপী মসজিদ ইস্যুতেও বাদী পক্ষের হয়ে মামলা লড়ছেন এই আইনজীবী। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটি অংশ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিল বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ, এই অভিযোগে বহু দিন ধরেই সরব একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এবার সরাসরি ওই মসজিদ ফেরত চেয়ে মামলা গড়িয়েছে আদালতে। জ্ঞানবাপী মসজিদে শৃঙ্গার গৌরী, গণেশ, হনুমান ও শিবের বাহন নন্দীর নিয়মিত পুজো ও আচার পালনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন পাঁচ মহিলা। তাঁদের আবেদনের প্রেক্ষিতেই ওই প্রাচীন মসজিদটিতে ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষার নির্দেশ দেয় আদালত। আর এঁদের হয়েই সওয়াল করছেন ওই আইনজীবী। এই প্রেক্ষিতেই এবার সামনে এল তাঁর ওই পুরনো বক্তব্য।