উত্তর-পূর্বে কমেছে নাশকতা ও হিংসার ঘটনা। আশ্বাস বিতর্কিত আফস্পা আইন প্রত্যাহারের। জনসভায় জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। হাঁসখালি কাণ্ডে নয়া মোড়। গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা সমরেন্দ্র গোয়ালি সহ আরও ১। অভিযোগ প্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রের। ফের প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করলেন ধনকড়। পালটা জবাব তৃণমূলের। চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় লাফিয়ে বাড়ল অ্যাকটিভ কেস। বাড়ল মৃত্যুও। বাংলায় একদিনে আক্রান্ত ৫২ জন।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. উত্তর-পূর্ব থেকে বিতর্কিত আফস্পা আইন প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অসমে শান্তি, একতা ও উন্নয়ন জনসভায় প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ৮ বছরে উত্তর-পূর্বে নাশকতা ও হিংসার ঘটনা ৭৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। এরপরেই মোদি বলেন, “সমগ্র উত্তর-পূর্ব থেকেই পর্যায়ক্রমে আফস্পা প্রত্যাহারের চেষ্টা করছে কেন্দ্র।”
এই সফরে অসমের ডিফুতে তিনটি কলেজের উদ্বোধন করেন মোদি। এছাড়াও ডিব্রুগড়ে অসম সরকার ও টাটা ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে সাতটি ক্যানসার হাসপাতালের উদ্বোধন ও আরও সাতটি ক্যানসার হাসপাতালের শিলান্যাস করেন তিনি। রাজ্যে মোট ১৭টি ক্যানসার হাসপাতাল তৈরিতে ৮৩০ কোটি টাকা দিচ্ছে টাটা গোষ্ঠী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্যানসার উত্তর-পূর্বে বড় সমস্যা। এতগুলি উন্নত ক্যানসার হাসপাতাল তৈরি হওয়ায় সেই সমস্যা মোকাবিলা করা যাবে।”
উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহারের দাবি উঠছে দীর্ঘদিন ধরেই। নিরাপত্তার নামে সাধারণ নাগরিকের উপর সেনাবাহিনী অকথ্য নির্যাতন করে বলে প্রায়শয়ই অভিযোগ ওঠে। প্রতি ছ’মাস অন্তর অন্তর এই আফস্পার মেয়াদ বৃদ্ধি হয়। গতবছর নাগাল্যান্ডে সেনার গুলিতে ১৩ জন নাগরিকের মৃত্যুর পর ফের আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হয় উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। এবার এই বিতর্কিত আইনের মেয়াদ বৃদ্ধির আগেই মিলল প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস।
2. হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় নয়া মোড়। এবার গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তথা মূল অভিযুক্তের বাবা সমরেন্দ্র গোয়ালিকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। গ্রেপ্তারির আগে বেশ কয়েকবার তাকে জেরাও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এছাড়া এদিন সমরেন্দ্রর বন্ধু পীযূষ ভক্তকেও গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। প্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।
গত ৯ এপ্রিল হাঁসখালি থানায় নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর পুলিশ সমরেন্দ্র গোয়ালির ছেলে সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছিল। গত মঙ্গলবার সমরেন্দ্র গোয়ালি ও তার স্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হয় কৃষ্ণনগরের সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে। কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের। তবে এবার সরাসরি গ্রেপ্তার করা হল সমরেন্দ্র গোয়ালিকে।
এদিকে, শুক্রবার হাঁসখালি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সোয়েল গোয়ালি ওরফে ব্রজ, প্রভাকর পোদ্দার, রঞ্জিত মল্লিক, আকাশ বাড়ই এবং দীপ্ত গোয়ালিকে রানাঘাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ সুতপা সাহার এজলাসে তোলা হয়। তাদের আগামী ১৩ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।