ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের জন্য মানবিক উদ্যোগ রাজ্যের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুটে নতুন পালক। অবশেষে পুলিশের জালে জাহাঙ্গিরপুরী হিংসার মূলচক্রী। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ফের রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে এবার পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। গত মার্চে ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের রাজ্যে পড়াশোনার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদনও জানান তিনি। তবে একমাসেরও বেশি সময় কেটে গেলেও কেন্দ্রের তরফে কোনও উত্তর আসেনি। তাই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে পালিয়া আসা পড়ুয়াদের রাজ্যেরই বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে ভরতির ব্যবস্থা করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম বর্ষের যে পড়ুয়ারা NEET’এর মাধ্যমে সুযোগ পেয়েও ইউক্রেনে গিয়ে ডাক্তারিতে ভরতি হয়েছিলেন, তাঁরা সরাসরি কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে রাজ্যে বিভিন্ন বেসরকারি কলেজগুলোয় ভরতি হতে পারবেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা সরকারি কলেজে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করার সুযোগ পাবেন। চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ‘অবজার্ভিং সিট’ পাবেন। বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইউক্রেনে মেডিক্যাল কোর্স ছেড়ে ফিরেছেন ৪১২ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জন ডেন্টাল কোর্সে পড়াশোনা করছিলেন। এঁদের মধ্যে কোর্স শেষ করে ফেরা এক ডেন্টাল পড়ুয়াকে সরকারি ডেন্টাল কলেজে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি ২ জন এখানে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করতে পারবেন। বাকিরা ইউক্রেনের যে কলেজ পড়তেন, সেখানে অনলাইন ক্লাস করবেন। একজন ভেটেনারি সার্জনকে রাজ্যের অ্যানিমাল অ্যান্ড ফিশারিজ সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ৩ জন ইউক্রেন থেকে চাকরি নিয়ে ফিরেছেন দেশে। তাঁদের মধ্যে ২ জনকে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের দপ্তরে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। আরেকজন দুবাইয়ে চাকরি পেয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য ছেড়েছেন। রাজ্যের আবেদনে কেন্দ্র নীরব থাকলেও, ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে মানবিক উদ্যোগই নিল রাজ্য প্রশাসন।
2. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুটে নয়া পালক। টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিং অনুযায়ী দেশে প্রথম স্থান দখল করল এই বিশ্ববিদ্যালয়। সার্বিক উন্নয়ন এবং প্রসারের নিরিখে মিলল স্বীকৃতি। দেশের সমস্ত কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বতালিকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান ২০১-৩০০। টুইটে পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা-সহ কলকাতা বিশ্ববিদ্যায়ের সকলকেই অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবারই প্রকাশিত হল টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিং। সার্বিক উন্নয়ন এবং প্রসারের নিরিখে দেশের সেরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের সমস্ত কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। এই স্বীকৃতি পাওয়ার পর ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানান উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।