বিনিয়োগ টানতে সফল বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। দুদিনে প্রস্তাব ৩ লক্ষ ৪২ হাজার কোটিরও বেশি বিনিয়োগের। বাংলায় অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কেন্দ্র গড়ার ঘোষণা ডা. দেবী শেঠির। প্রস্তাবিত হাসপাতালের জন্য রাজ্যের কাছে চাইলেন জমি। প্রস্তাব ছোট ছোট মেডিক্যাল কলেজেরও। বাণিজ্য সম্মেলনে প্রাপ্তি-যোগ রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রেও। সহায়তায় আগ্রহী পোল্যান্ড, ইংল্যান্ড, রাশিয়া।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
১। রাজ্যে বিনিয়োগ টানায় সফল বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। দু’দিনের সম্মেলন শেষে রাজ্যে প্রস্তাব এসেছে ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকার বিনিয়োগের। সম্মেলনের দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৩৭টি মউ স্বাক্ষর করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই বিরাট অঙ্কের বিনিয়োগ প্রস্তাব কার্যকরী হলে ৪০ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থান হবে। করোনা বিপর্যয়ের পর বাণিজ্য সম্মেলনে কতটা বিনিয়োগ আসতে পারে, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন অনেকেই। বিরোধীরাও কটাক্ষ করেছিলেন এই সম্মেলনকে। এদিন তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে তার জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, বিগত বাণিজ্য সম্মেলনগুলি মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১২ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে বাংলায়। এর মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “শুধু বানতলায় চর্মশিল্পক্ষেত্রেই ১০ লক্ষের বেশি মানুষ কাজ করছেন। সব মিলিয়ে MSME সেক্টরে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। মাইক্রসফট, ফ্লিপকার্টের মধ্যে সংস্থা এখানে বিনিয়োগ করতে চাইছে।” বাংলায় বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশের জন্য শিল্পপতিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ধর্মীয় উৎসব যেমন পালন করা হয়, তেমনই রাজ্যে হবে শিল্পের উৎসব পালন। আগামী বছরের সম্মেলনের দিনক্ষণও তাই জানিয়ে দেন দিন। ২০২৩-এ ১ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি বসবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর।
২। বৃহস্পতিবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে বাংলায় অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কেন্দ্র তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা দেবী শেঠি। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মতো কাজে এই মুহূর্তে অন্যান্য অনেক রাজ্যের থেকেই এগিয়ে বাংলা। বাণিজ্য সম্মেলনে এই দিকটাই তুলে ধরে এবার আলাদা একটি কেন্দ্র করার প্রস্তাব দিলেন তিনি। প্রস্তাবিত হাসপাতালের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে জমিও চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে ছোট ছোট মেডিক্যাল কলেজ গড়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। রোগী অনুপাতে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়াতেই এই কলেজগুলি চালু করার প্রস্তাব তাঁর। সেখানে ১০০-১৫০ জন পড়ুয়া পড়াশোনার সুযোগ পাবেন এবং চিকিৎসক হয়ে উঠবেন। এর ফলে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়বে সেই সঙ্গে চিকিৎসার খরচও অনেকটা কমবে বলেই মত তাঁর। সেই সঙ্গে নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও চিকিৎসা সংক্রান্ত উচ্চশিক্ষা বা গবেষণার সুযোগ পাবেন। এদিন দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিদের সামনে রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথি কার্ডেরও প্রশংসা করেন বিশিষ্ট এই চিকিৎসক।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।