৫ মে থেকেই চালু হচ্ছে ‘দিদিকে বলো ২’। রাজ্যের বিকল্প শিক্ষানীতিতে আপত্তি নেই কেন্দ্রের। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে অসমের প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি রিপুন বোরা। বগটুই কাণ্ডে নয়া মোড়। উপনির্বাচনে আসানসোলে হার কেন? অমিতাভ চক্রবর্তীকে তলব শাহ-নাড্ডার। উঠে যেতে পারে জিএসটির ৫ শতাংশের ধাপ।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. আমজনতার যাবতীয় অভিযোগ, বিশেষত সরকারি কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ কিংবা শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই জানাতে পারবেন নাগরিকেরা। ‘দিদিকে বলো’ নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তৈরি এই প্রকল্প নিঃসন্দেহে বেশ সফল। উনিশের লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল সরকারের এই প্রকল্প কার্যত মাস্টারস্ট্রোক ছিল। এবার তার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরুর পালা। সূত্রের খবর, আগামী ৫ মে থেকে শুরু হবে ‘দিদিকে বলো ২’। ফের নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে জানাতে পারবেন আমজনতা।
শনিবার ভবানীপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির একটি বৈঠক হয়। সেখানেই নয়া কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, ইএম বাইপাসের ধারে মেট্রোপলিটানে তৃণমূলের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন হবে আগামী ৩ মে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। জানা যাচ্ছে, ৩ মে এই ভবনে গৃহপ্রবেশের পর নতুন কর্মসূচি অর্থাৎ ‘দিদিকে বলো ২’ শুরু হবে। তার দিনক্ষণ প্রাথমিকভাবে স্থির করা হয়েছে ৫ মে। প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও প্রকল্পটিও বেশ সাফল্যমণ্ডিত হবে বলেই আশা তৃণমূল নেতৃত্বের।
2. রাজ্যের বিকল্প শিক্ষানীতিতে আপত্তি নেই কেন্দ্রের। রবিবার কলকাতায় বণিকসভার অনুষ্ঠান শেষে এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। রাজ্য সরকারের উদ্যোগ মেনে নিয়েও তাঁর কটাক্ষ, “গোটা দেশ যা করে বাংলার সরকার ভিন্ন কিছু করতে চায়। তবে কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে কোনও রাজ্য যদি কিছু যোগ করতে চায়, তা সাংবিধানিক অধিকার। তাতে কোনও আপত্তি নেই।”
কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতির আগেই বিরোধিতা করেছে রাজ্য। রাজ্যের বিকল্প শিক্ষানীতি তৈরিতে ১০ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে। ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের গাইডলাইনও খতিয়ে দেখবেন কমিটির সদস্যরা। রাজ্যের শিক্ষাবিদদের একটি অংশ মনে করছে, কেন্দ্রীয় নীতি কার্যকর হলে শিক্ষায় বেসরকারিকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ হবে। এদিন ধর্মেন্দ্র বলেন, “ড. কস্তুরীরঙ্গন-সহ দেশের সেরা শিক্ষাবিদরা জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি করেছেন। রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যে তা জানানো হয়েছে। তারপরও বিরোধিতা হচ্ছে। আমরা চাই শিশুশিক্ষা শুরু হোক তাদের মাতৃভাষাতেই। বাংলার সরকার হয়তো তা চায় না।” কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি লাগু না করলে শিক্ষাক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে গড়িমসি হওয়ার আশঙ্কা করছে শিক্ষামহলের একাংশ। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা স্কুল, উচ্চশিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষায় যৌথ অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ করি। ভবিষ্যতেও তাই হবে।” অন্যদিকে এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আদালতের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগে তদন্ত চলছে। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে রাজ্যগুলির সতর্ক থাকা উচিত।” খড়গপুর আইআইটির রাজারহাট কেন্দ্রে নতুন উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ার ঘোষণাও করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।