দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বাজিমাত তৃণমূলের। আসানসোলে জয়ী শত্রুঘ্ন সিনহা, বালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয়। হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে সিবিআই-এর জালে মূল অভিযুক্ত সোহেলের বন্ধু রঞ্জিত। রাজ্যের চার ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে তৎপর দময়ন্তী সেন। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। রাজ্যে বসবে বিশালাকার হনুমান মূর্তি। হনুমান জয়ন্তীতে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর। আইপিএলে ফিরতে চলেছে সমাপ্তি অনুষ্ঠান।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 এপ্রিল 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলার মানুষের মঙ্গলকামনায় কালীঘাটে পুজো মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. আসানসোল ও বালিগঞ্জ – দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে লক্ষাধিক ভোটে জিতছেন তৃণমূলের অন্যতম তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপির অগ্নিমিত্রা পল এবং তৃতীয় স্থানে সিপিএম প্রার্থী। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম স্থান সখল করেছেন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তবে এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে আছেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম, তৃতীয় স্থানে বিজেপির কেয়া ঘোষ। দলের এই জয়ে জনতাকেই কুর্নিশ জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোড়া জয়কে নববর্ষের উপহার হিসাবেই অভিহিত করেছেন তিনি। পাশাপাশি জয়ের পর কালীঘাটে পুজোও দিয়েছেন মমতা। অন্যদিকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এই ফলাফলে বিদ্বেষ বিরোধিতার পথে আরও একধাপ এগোল ভারত।” বাংলা ও বাংলার বাইরের মোট তিন রাজ্যের উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হল শনিবার। দেখা যাচ্ছে, উপনির্বাচনের ফলাফলে গেরুয়া শিবিরের ভাঁড়ার শূন্য। অর্থাৎ দেশের কোনও কেন্দ্রেই কোনও উপনির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। বাংলায় দুই কেন্দ্রে হারের পর রাজ্যের বিজেপি নেতাদেরই অসন্তোষের মুখে পড়েছেন দলীয় ভারপ্রাপ্ত নেতারা। বড় ব্যবধানে হারার পর খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। এদিকে পরাজয় সত্ত্বেও এই উপনির্বাচনের ফলাফল খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে বামেদের। বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। আবার তৃণমূলকে পিছনে ফেলে জয় এসেছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ওয়ার্ডেও। রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরস্থিতিতে বামেদের এই ফলাফল তাই তাৎপর্যপূর্ণ মলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
2. হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে নেমে এবার গ্রেপ্তারি শুরু করল সিবিআই। ধৃতের নাম রঞ্জিত মল্লিক। ঘটনার দিন সোহেলের বাড়িতে হাজির ছিল রঞ্জিত। ধৃতের বাবা নেই। মাকে নিয়েই থাকত সে। ঘটনার পর থেকে মাকে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল রঞ্জিত। শুক্রবার রাতে রঞ্জিতের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। কিন্তু সেখানে কেউ ছিল না। বাড়ি সিল করে দেয় আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এদিন রানাঘাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত হাঁসখালির ঘটনায় গ্রেপ্তার হল মোট তিনজন। মূল অভিযুক্ত সোহেল এবং তার বন্ধু প্রভাকরকে গ্রেপ্তার করেছিলেন রাজ্যের তদন্তকারীরা। এদিকে এদিন নির্যাতিতা তরুণীর মা-বাবা এবং জ্যাঠার দুই ছেলেকে ডেকে পাঠিয়ে তাদের বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই।
এদিকে ফের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ নদিয়াতে, এবার ঘটনাস্থল ধানতলা। জানা যাচ্ছে, গত ১১ এপ্রিল ধানতলার শংকরপুরে দূর সম্পর্কের এক দিদির বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল বছর পনেরোর কিশোরী। সেখানেই ১৫ এপ্রিল কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয় ঝুলন্ত অবস্থায়। এরপর কিশোরীর বাবা ধানতলা থানায় খুনের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেইমতো রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে কিশোরীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় গলদ আছে বলে অভিযোগ তোলেন কিশোরীরে বাবা। তিনি থানায় দ্বিতীয় আরেকটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগপত্র অনুযায়ী, তাঁর মেয়ের মৃত্যু অস্বাভাবিক। ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে, পরে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য মেয়েটির জামাইবাবুকে দায়ী করেছেন তিনি। ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ৪ জন।
পাশাপাশি, বীরভূমের কাঁকরতলায় বাবার যৌন লালসার শিকার এক নাবালিকা। অভিযোগ পেয়ে নাবালিকার বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিন কার্শিয়াং এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলপি ও ভাঙড় থেকেও এসেছে ধর্ষণের অভিযোগ। প্রতি ক্ষেত্রেই তৎপর হয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।