দেউচা-পাচামি নিয়ে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর। উপস্থিত ছিলেন ‘জমি জীবন জীবিকা’ ও ‘প্রকৃতি বাঁচাও’ মহাসভার প্রতিনিধিরা। প্রতিশ্রুতি সেরা প্যাকেজ দেওয়ার। হাঁসখালিতে কিশোরীর দেহ পুড়িয়েছিল ধর্ষকরাই। বিস্ফোরক মন্তব্য নির্যাতিতার বাবার। ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছে বিজেপি। FIR কপি তলব CBI-এর। এসএসসি নিয়োগ মামলায় সাময়িক স্বস্তি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। আগামী চার সপ্তাহ তলব নয় সিবিআই-এর। নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 12 এপ্রিল 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের
বিস্তারিত খবর:
1. দেউচা-পাচামির প্রস্তাবিত প্রকল্প নিয়ে বুধবার নবান্নে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার প্রতিনিধিরা। প্রস্তাবিত কয়লাখনি অঞ্চলের ৩৬টি গ্রামের প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি এই মহাসভা। এদিন ২০ জনের একটি দল নবান্নে আসে। তাঁদের মধ্যে সাদী হাঁসদার নেতৃত্বে ৯ জন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। প্রস্তাবিত কয়লাখনি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের একাংশের চাপা ক্ষোভ ছিল। সেই ভুল বোঝাবুঝি মেটাতেই ছিল এই সাক্ষাৎ। মহাসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা আলোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা এই প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছে যাবে। জানা গিয়েছে, মহাসভার প্রতিনিধিরা বেশ কিছু দাবি-দাওয়া রাখেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। যার মধ্যে অন্যতম হল মহাসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার এবং ক্ষতিপূরণ। পাশাপাশি পাথর খনি এলাকায় মাফিয়া চক্র যারা চালাচ্ছে, তাদের গ্রেপ্তারের দাবিও করা হয়। ময়নামতীর সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছিল, তার বিচার চাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সব দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। বলেছেন, জমি অধিগ্রহণের জন্য সেরা প্যাকেজই দেওয়া হবে। আন্দোলনকারীদের তরফে এই বৈঠককে স্বাগত জানানো হয়েছে।
2. হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে এবার মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা। জানালেন, মেয়ের দেহ দাহ করেছিল ধর্ষকরাই। তাঁর দাবি, নাবালিকার মৃত্যুর পর অভিযুক্তরাই দেহ নিয়ে যায় শ্মশানে। দেহ দাহ করে দেওয়া হয় পরিবারের কারও উপস্থিতি ছাড়াই। এর আগে কেন দেহ দাহ করা হল, এবং তার ফলে প্রমাণ কী করে পাওয়া যাবে – এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নির্যাতিতার বাবার কথায় যেন সে প্রশ্নের উত্তর মিলল। এদিকে বগটুইয়ের পর হাঁসখালিতেও কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গড়ল গেরুয়া শিবির। যে কমিটি হাঁসখালি থেকে ঘুরে গিয়ে রিপোর্ট দেবে খোদ বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাকে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তদন্তের দায়িত্ব পেয়েই সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই নদিয়া জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ইমেল করে ঘটনার কেস ডায়েরি চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর মধ্যেই বিতর্ক বাড়ল তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের মন্তব্যে। এদিন এই প্রসঙ্গে বলেন, তিনি বলেন, “৯৩ শতাংশ ধর্ষণই ঘটে পরিবারের অভ্যন্তরে।” তাঁর মন্তব্যের নিন্দায় সরব রাজনৈতিক মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।