‘অবতার’ সিনেমাটির কথা মনে আছে? যেখানে নীল রঙের শরীর আর লম্বা লেজওয়ালা মানুষের মতন প্রাণীদের দেখা মিলেছিল? মানুষ তাদের ডাকতে শুরু করেছিল ‘অবতার’ বলে। এবার বাস্তবেও যেন খানিকটা তেমনই ঘটনা ঘটল। এক কিশোরের শরীরে দীর্ঘ লেজ থাকায় তাকে স্বয়ং ঈশ্বরের অবতার বলেই মনে করে বসলেন ভক্তরা। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, বিবর্তনের এক পর্যায়ে মানুষের শরীর থেকে বিদায় নিয়েছিল লেজ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ‘আবার সে এসেছে ফিরিয়া’। না না ভয় পাবেন না, বিবর্তনের উলটো পথে হেঁটে মানুষ লেজওয়ালা বাঁদরে পরিণত হচ্ছে, এখনই এমন দাবি কেউ করছে না। তবে যেমন করেই হোক, নেপালের এক কিশোরের ক্ষেত্রে সে লেজ ফিরে এসেছে আবার। আর সেই লেজটিকেই দেবত্বের প্রতীক বলে মনে করে বসেছেন ভক্তরা। এই কিশোর আসলে কোনও সাধারণ মানুষ নয়, বরং খোদ পবনপুত্র হনুমানই পুনর্জন্ম নিয়েছেন ওই কিশোরের মধ্যে দিয়ে, এমনই বিশ্বাসে অটল তার পরিবারও। আর ওই কিশোরের লেজের ছবির সঙ্গে সঙ্গে এহেন বিশ্বাসের কথাও ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়।
আরও শুনুন: মন্দির চত্বরেই আয়োজন ইফতারের, মুসলমান পড়শিদের আমন্ত্রণ স্বয়ং পুরোহিতের
ব্যাপারটা ঠিক কী? তবে খুলেই বলা যাক।
ওই কিশোরের নাম দেশান্ত অধিকারী। জন্মের পরে পরেই তার মা বাবা লক্ষ করেন, তার মেরুদণ্ডের নিচের অংশ অর্থাৎ কক্সিস থেকে একটি রোমশ লেজ বেরিয়েছে। এহেন অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ছেলেকে নিয়ে একাধিক চিকিৎসক ও হাসপাতালের দ্বারস্থ হন দেশান্তের মা বাবা। কিন্তু এসবের মধ্যেই তাঁদের একেবারে উলটো কথা বলেন এক স্থানীয় পুরোহিত। তাঁর মতে, চিকিৎসার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ, দেশান্ত আসলে হিন্দু পুরাণের দেবতা হনুমানের পুনর্জন্ম। সে কথারই ইঙ্গিত দিচ্ছে তার ওই লেজটি।
আরও শুনুন: দেশরক্ষাই ধর্ম, রমজান পালনের মধ্যেও কর্তব্যে অবিচল ইউক্রেনের মুসলমান সৈনিকরা
বলাই বাহুল্য, এ কথা ওই হিন্দু পরিবারটিকে রীতিমতো আনন্দিত করে তোলে। ওই কিশোরের কথায়, প্রথম প্রথম লেজ নিয়ে সে বিব্রত বোধ করত। কিন্তু এখন সে নিজেই সগর্বে তার লেজটি সকলকে দেখায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে লেজের ছবি বা ভিডিও পোস্ট করতেও আপত্তি নেই তার। অনেকেই তাকে হনুমান বলে ডাকে বলেও জানিয়েছে সে। নেপালের বাসিন্দা ওই যুবকের বর্তমানে বয়স ১৬ বছর। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে তার লেজটিও। এখন তার লেজের দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ৭০ সেন্টিমিটার। আর তার জোরে চিকিৎসাবিজ্ঞানের যুক্তি তর্ক উড়িয়ে দিয়ে অবতারতত্ত্বকেই প্রতিষ্ঠা দিয়ে চলেছে এই কিশোর।