প্রতিশ্রুতি মতো বগটুই কাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে চাকরি। ভারচুয়াল অনুষ্ঠানে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ জেলাশাসককে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি-সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা মমতার। উদ্বেগ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়েও। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকেও তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। সংস্কারের জন্য আংশিক বন্ধ থাকবে মা উড়ালপুল। সোমবার থেকে আগামী ১৯ দিন বজায় থাকবে নয়া নিয়ম। রাত্রি ১১ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত হবে না যান চলাচল।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 2 এপ্রিল 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তি ভারতের, সম্ভাবনা ১০ লক্ষ চাকরির
বিস্তারিত খবর:
1. বগটুই অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের পরিবারকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথামতো ১০ জনের হাতেই তুলে দেওয়া হল চাকরির নিয়োগপত্র। সোমবার দুপুরে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই ভারচুয়ালি বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই নিয়োগপত্র। নিয়োগপত্র দেওয়ার পরই জেলাশাসক-সহ জেলার আধিকারিকদের চাকরিপ্রাপকদের সাহায্যের নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগুনের কারণে অনেকের কাগজপত্র হারিয়ে গিয়েছে। জেলাশাসককে তাঁদের সাহায্য করতে হবে।” একই সঙ্গে তিনি জানান, “চাকরি দিয়ে বা আর্থিক সাহায্য করলে কখনও মানুষ ফিরে আসে না। কিন্তু বেঁচে থাকার প্রয়োজনে প্রত্যেককে এগিয়ে যেতে হয়।যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা যাতে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারেন সেই জন্যই এই পদক্ষেপ।” কোথায় কাজে যোগ দেবেন, কী কী প্রয়োজন, কীভাবে কাজে যোগ দিতে হয়, এই সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলেও, জেলাশাসককে সে বিষয়েও চাকরিপ্রাপককে সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
2. জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, পিএফের সুদ কমানো-সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোপন করলেন না দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে তাঁর উদ্বেগ। সাফ জানালেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ। তাঁর এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে মমতা বলেন, “আমি আমার দেশকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করতে চাই না। তবে বিজেপির উচিত এই পরিস্থিতিতে সব দলের সঙ্গে কথা বলা। ” জিএসটি থেকে রাজ্যের বকেয়া প্রাপ্য নিয়েও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়লা ও গরুপাচার কাণ্ড নিয়েও বরাবরই সরব বিরোধীরা। এদিন তাঁর জবাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, “কয়লা, গরু পাচারের উৎস অন্যত্র। কয়লা খনিগুলো পাহারা দেয় সিআইএসএফ। সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের বিষয়টি বিএসএফের দেখার কথা। এগুলো কিছুই আমাদের হাতে নেই। রাজ্যের কী করার আছে? আর এসব পাচারের উৎস অন্যত্র। কেন্দ্র সেই উৎস বন্ধে কোনও কাজ করছে না।”
পাশাপাশি সোমবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা একযোগে বিজেপি-কংগ্রেস এবং সিপিএমের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন। তাঁর কটাক্ষ, “বিজেপি তো বোকা। সিপিএম আপনাদের দেয় ধোঁকা। আর কংগ্রেস তো ওদের পোকা।” তাঁর বক্তব্য, তিন দলই তলায়-তলায় জোট বাঁধছে। যাদের মূল লক্ষ্য তৃণমূলের তথা রাজ্যের ক্ষতি করা। মৃতদেহ নিয়ে নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনার বিরুদ্ধেও সরব হন মমতা। বলেন, তাঁর শাড়িতে কালি ছেটানোর ব্যবস্থা হলে তিনি তার উত্তর দিতে জানেন। রাজ্যের উন্নয়ন এবং রাজ্যের স্বার্থকে আমল না দিয়ে বিরোধীদের রাজনীতিরই এদিন কঠোর সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।