বসন্ত এসে গেছে! আর তার সঙ্গেই এসেছে রঙের মরশুম। দোল উৎসবে রঙে রঙে নিজেদের রাঙিয়ে না নিলে কি চলে! তা নিজে রং মাখুন যত ইচ্ছে, কিন্তু সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন কিংবা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির গায়ে রং মাখালে ব্যাপারটা আর মজার থাকবে না, তাই না? আসুন, জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে রং খেলার সময় বাঁচিয়ে রাখবেন এই গ্যাজেটগুলিকে।
সময় বদলেছে। বদলে গিয়েছে হোলির ধরনধারণও। এই ব্যস্ত যুগে কাজকর্মের সঙ্গেই তাই মিলিয়ে নিতে হয় অবকাশ যাপনের আনন্দকে। দোলখেলার দিন যাঁদের ছুটি নেই, তাঁরা কর্মক্ষেত্রেই হয়তো আবিরের রঙে রাঙিয়ে নেবেন নিজেদের। কিন্তু… প্রস্তুতিহীন এই হুল্লোড়ে যে একটি বিপদের দিকও রয়েছে। হাতের প্রাণভোমরা অর্থাৎ মোবাইল ফোনটিতে যদি রং, বিশেষ করে জলরং লেগে যায়, তাহলে তো হাত পা ছড়িয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করবে আপনার। আর শুধু কি মোবাইল? গলায় মালা করে ঝোলানো সাধের ওয়্যারলেস ইয়ারফোনটির কী দশা হবে বলুন দেখি? কিংবা হাতের ঘড়ি? সে সবকিছু নিরাপদ জায়গায় রেখে হোলির হুল্লোড়ে গা ভাসানোই সবচেয়ে ভাল, কিন্তু যদি সেই সুযোগ না মেলে?
আরও শুনুন: জামাকাপড় থেকেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ! কাচার পর স্যানিটাইজ করতে ভুলছেন না তো?
ধরা যাক মোবাইল ফোনটি আপনার কাছছাড়া করার উপায় নেই। মন যতই হোলির দিকে থাক, কান পড়ে আছে ক্লায়েন্ট কলের রিং শোনার অপেক্ষায়। সেক্ষেত্রে ফোনটিকে হাতে বা পকেটে রাখবেন না। তাতে রং লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা ষোল আনা। বরং তাকে সোজা চালান করে দিন কোনও চেন-বন্ধ ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগে। স্বচ্ছ ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগে রাখলে আবরণের উপর দিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লোক কাজ করবে না। সেইজন্য পিন কিংবা প্যাটার্ন লক ব্যবহার করতে পারেন, যাতে ফোনে সরাসরি হাত দেওয়ার দরকার না হয়। মনে রাখবেন, জল লেগে ফোনের ক্ষতি হলে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওয়্যার্যান্টির মধ্যে ধরা হয় না।
আরও শুনুন: অফিসে এক জায়গায় বসে একটানা কাজ! ঘাড়-পিঠের ব্যথা এড়াতে কী করবেন?
হাতঘড়ি, বিশেষত স্মার্টওয়াচের ক্ষেত্রে অবশ্যই জলনিরোধক কভার ব্যবহার করুন। ইয়ারফোনে যাতে রঙের দাগ না পড়ে, সেজন্য গ্লিসারিন কিংবা ময়েশ্চারাইজার মাখিয়ে নিতে পারেন। তাহলে রং লাগলেও দাগ মুছে ফেলা সহজ হবে। ফোনের চার্জিং পোর্ট, স্পিকার অংশগুলি ডাক্ট টেপ লাগিয়ে সাময়িভাবে বন্ধ করে দিতে পারেন, তাহলে রঙের গুঁড়ো ঢুকে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
তাহলে আর অপেক্ষা কীসের? কী কী সতর্কতা নেওয়া যেতে পারে, সে তো জেনেই গেলেন। চিন্তার হাত থেকেও মিলল রেহাই। সুতরাং, এ বছর হোলির আনন্দ থেকে আপনাকে রুখবে কে আর!