বিধানসভায় বাজেট পেশ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। করোনাকালে বেড়েছে রাজ্যের আয়। ইভিএম কারচুপিতেই হার অখিলেশের, সরব মমতা। চার রাজ্যে বিপুল জয়ের পরেই গুজরাটে নরেন্দ্র মোদি। আনিস-মামলায় হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ সিটের। পাক ভূখণ্ডে ভুলবশত আছড়ে পড়ল ভারতের মিসাইল। ফের আরবিআইয়ের কোপে পেটিএম। ঝাঁজ বাড়িয়ে মারিওপোলে প্রতি আধঘণ্টা অন্তর বোমা নিক্ষেপ রাশিয়ার। হা
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 10 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- উত্তরপ্রদেশ-সহ চার রাজ্যে গেরুয়া ঝড়, পাঞ্জাবে বাজিমাত কেজরিওয়ালের
আরও শুনুন: 9 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ২ বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন ঘিরে উত্তাল বিধানসভা, মমতার ভাষণে বাধা
বিস্তারিত খবর:
1. বিজেপির হট্টগোলের মধ্যেই বিধানসভায় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজস্ব বৃদ্ধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দও বৃদ্ধি করা হয়েছে বাজেটে, যা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
এই প্রথম বিধানসভায় বাজেট পড়লেন কোনও মহিলা অর্থমন্ত্রী। বাজেট পেশের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। যদিও তিনি বাজেট পড়া শুরু করার পরই হট্টগোল আরম্ভ করেন বিজেপি বিধায়করা। উত্তেজনার মাঝেই বেশ কিছুক্ষণ বাজেট পড়েন অর্থমন্ত্রী। এরপরই অধিবেশন ওয়াকআউট করে বিজেপি। সদ্যই অর্থদপ্তরের পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এবার ২৮, ২৭৯ কোটি টাকা ঘাটতি বাজেট পেশ করেছেন তিনি।
বাজেট পেশের পরেই অর্থদপ্তরের উপদেষ্টা অমিত মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে বাজেটের ব্যাখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারে মোট বাজেট পেশ করা হয়েছে ৩ লক্ষ ২১ হাজার ৩০ কোটি টাকার। হাজারও আর্থিক প্রতিকূলতা, করোনা কালে কর্মক্ষেত্রের দুর্দশা, উৎপাদন শিল্পে মন্দা, কেন্দ্রের অসহযোগিতা ইত্যাদি সামলেও চলতি আর্থিক বর্ষে পশ্চিমবঙ্গের আয় বেড়েছে বলেছে জানান তিনি। রাজস্ব আদায় আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ৩.৭৬ গুণ বৃদ্ধি হয়েছে। এ বছর রাজস্ব খাতে আদায় হয়েছে ৭৯,৩৪৭ কোটি টাকা। সামগ্রিকভাবে একে ‘জয় বাংলা’ বাজেট বলেই ব্যাখ্যা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। জানিয়েছেন, সামগ্রিকভাবে ৮ গুণ বেশি বরাদ্দবৃদ্ধি হয়েছে। করোনা কালে যা যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলেই দাবি তাঁর। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বিধবাদের পেনশনে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ২৫০০ কোটি টাকা। করছাড়ে মেয়াদবৃদ্ধি, পরিবহণ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে কর মকুবের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
2. উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর ফের ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন,”উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ মানুষের ভোটে হারেনি। হেরেছে যন্ত্রের কেরামতিতে।” তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, “আমার মনে হয় অখিলেশকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইভিএম নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। ইভিএমে ভোট চুরি হয়েছে।”
শুক্রবার মমতা বলেন,”উত্তরপ্রদেশে ঠিকভাবে হিসাব করলে দেখা যাবে বিজেপির আসন অনেক কমেছে। অখিলেশের ভোট শতাংশ অনেক বেড়েছে। আগেরবারের থেকে ৭২টি বেশি আসন ওরা পেয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ওকে একা লড়তে হয়েছে। চক্রব্যুহে ফেলে অভিমন্যু বধের মতো হারানো হয়েছে অখিলেশকে। ভোট লুট হয়েছে। ইভিএম সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অখিলেশ যদি হেরেও থাকে সেটা মানুষের ভোটে নয়, মেশিনের কারচুপিতে। যন্ত্রের কারসাজিতে জিতেছে বিজেপি। ইভিএমের ফরেনসিক টেস্ট হওয়া উচিত।”
উত্তরপ্রদেশের এই ফলাফলের কোনও প্রভাব ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে পড়বে না বলেই মত মমতার। তৃণমূলনেত্রীর বক্তব্য, ”চব্বিশে বিজেপিকে হারাতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কংগ্রেস একসময় আমাদের নেতা ছিল, নিজেদের সংগঠনের জেরে গোটা দেশে ওদের প্রভাব ছিল। কিন্তু এখন কংগ্রেসের ইচ্ছাটাই নেই। ওদের উপর ভরসা করা উচিত হয়নি। অনেক আঞ্চলিক শক্তি আছে। সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে।”
চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জয়কে হাতিয়ার করে এরাজ্যেও চাঙ্গা বিজেপি। এমনটাই দাবি করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। গেরুয়া শিবিরের উচ্ছ্বাসের আঁচ পৌঁছে যাচ্ছে বিধানসভাতেও। তাদের এই ‘বাড়াবাড়ি’ নিয়েও কড়া প্রতিক্রয়া মমতার। তৃণমূল নেত্রীর কটাক্ষ, “ক-টা রাজ্যে জিতে লাফাচ্ছে। ২০২৪ লোকসভা লোকসভা করে ডুগডুগি বাজাচ্ছে। বাংলায় গোহারা হেরেও লজ্জা নেই।” সব মিলিয়ে চার রাজ্য়ের এই গেরুয়া ঝড়কে যে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিতে চান না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।