উত্তরপ্রদেশের মসনদে ফের বিজেপিই। পাঞ্জাবে বাজিমাত কেজরিওয়ালের। পাঁচ রাজ্যের ভোটেই ভরাডুবি কংগ্রেসের। গেরুয়া শিবিরের বিপুল জয়ে উজ্জীবিত বঙ্গ বিজেপি। দুই বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় বিজেপি। বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ঝুলন গোস্বামী।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 9 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ২ বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন ঘিরে উত্তাল বিধানসভা, মমতার ভাষণে বাধা
আরও শুনুন: 8 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ঘোষিত তৃণমূলের রাজ্য কমিটি, যোগ দিয়েই পদপ্রাপ্তি জয়প্রকাশের
বিস্তারিত খবর:
1. সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখল বিজেপি-ই। এই প্রথম ৩৫ বছরের রীতি ভেঙে পরপর দু’বার সরকার গড়ল একই দল। দ্বিতীয়বার বিপুল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়ছে বিজেপি। নিজের চেনা জায়গা গোরক্ষপুর থেকে বড় জয় পেয়েছেন যোগী আদিত্যনাথও। বিপুল জয়ের পর বিজেপি কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বললেন, মানুষ উন্নয়নের রাজনীতিকে বেছে নিয়েছে। দেশের মহিলারা বিজেপিকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। বাইশের উত্তরপ্রদেশের ফলাফল ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের রাস্তাও যেন তৈরি করে দিল।
গতবার বিজেপির ঝুলিতে এসেছিল ৩২৫টি আসন। এবার তিনশোর গণ্ডি পেরতে ব্যর্থ হলেও বিরোধীদের অনেকটাই পিছনে ফেলে দিল যোগী আদিত্যনাথের দল। সেদিক থেকে বিচার করতে হলে এবার বেশ কিছু আসন খুইয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই তুলনায় নিজেদের আসন সংখ্যা প্রায় আড়াই গুণ বাড়িয়েছে অখিলেশ যাদব নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টি। যদিও যোগীরাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। গতবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে সপা জিতেছিল মোটে ৪৭টি আসন। তার মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছিল ৭টি আসন। এবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বে হাত শিবির ২টি আসনে নিশ্চিত জয় পেয়েছে। একই অবস্থা মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টিরও । ২০১৭ সালে তারা পেয়েছিল ১৯টি আসন। এবার মোটে একটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বসপা প্রার্থী। সব মিলিয়ে সপা ছাড়া আর কোনও বিরোধী দলই সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি। আগামীতে উত্তরপ্রদেশের পদ্মশিবিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে নিজেদের তুলে ধরেছে অখিলেশ যাদবের দল। এই জয়ের পর স্বভাবতই স্বস্তির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে। বিপুল জয়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘এটা মোদির জয়, সুশাসনের জয়, উন্নয়নের প্রতিফলন’।
2. উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যেও ভাল ফল বিজেপির। উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়াতেও ফুটল পদ্ম। অর্থাৎ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট সাফল্য বিজেপির। মণিপুরে একক বৃহত্তম দল হিসাবে নির্বাচিত বিজেপি। উত্তরাখণ্ডেও সরকার গড়ছে পদ্মশিবির। এবারের নির্বাচনে সকলের নজর ছিল গোয়ার দিকে। কোনও কোনও বুথফেরত সমীক্ষায় সেখানে ত্রিশঙ্কু হতে পারে বলেও অনুমান করা হয়েছিল। যদিও দিনের শেষে বাজিমাত বিজেপিরই। গোয়ার বিজেপি সরকারকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন বিচোলিম বিধানসভা কেন্দ্রের ড. চন্দ্রকান্ত শেট্টি। বিজেপির দাবি, ৩ নির্দল প্রার্থীই গেরুয়া শিবিরকে সমর্থন করেছে। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে সৈকত রাজ্যে সরকার গড়বে বিজেপি। পাঁচ রাজ্যে গেরুয়া ঝড়ের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম পাঞ্জাব। সেখানে বাজিমাত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। কংগ্রেসের গড়ে জোর ধাক্কা দিয়ে পাঞ্জাব দখল করল আম আদমি পার্টি। কয়েক মাস আগেও মনে হয়েছিল অনায়াসে মসনদ ধরে রাখতে পারবে শতাব্দীপ্রাচীন দলটি। কিন্তু আপের কাছে কার্যত নাস্তানাবুদ চান্নির দল। এগজিট পোল থেকেই ইঙ্গিত মিলেছিল। আর সেই সম্ভাবনাই শেষ পর্যত মিলে গেল কাঁটায় কাঁটায়। পাঞ্জাবে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল কংগ্রেস। দিল্লির পর প্রতিবেশী রাজ্যেও ক্ষমতায় এল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। সিধু-চান্নি বিবাদের জেরেই কংগ্রেসের ভরাডুবি, আর তারই সুবিধা পেল আপ, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।