ঘোষিত হল তৃণমূলের রাজ্য কমিটি। ফের মহাসচিব পার্থ। বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে জয়প্রকাশ মজুমদার। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর। ভিডিয়ো-বার্তায় পুতিনকে চ্যালেঞ্চ জেলেনেস্কির। হাইকোর্টে বড় জয় বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের। গোয়ায় ঘাসফুলকে পাশে পেতে আসরে কংগ্রেস। স্বাভাবিক হচ্ছে ভারতের আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 7 মার্চ 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- বিক্ষোভে উত্তাল বিধানসভা, বিজেপিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. মঙ্গলবার তৃণমূলের রাজ্য কমিটি ঘোষণা করলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের মহাসচিব হলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেলেন সুব্রত বক্সি। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে রয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সাংস্কৃতিক কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে রাজ চক্রবর্তীকে।
মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠান থেকে নাম না করে দলের একাংশকে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন। এদিন সভা থেকে দলের জনসংযোগ কর্মসূচিও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। ৫ মে থেকে শুরু হচ্ছে জনসংযোগ যাত্রা। তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিন দফায় হবে এই জনসংযোগ কর্মসূচি। প্রথম দফা ৫ মে-২১ জুলাই। শহিদ দিবস উপলক্ষে ২১ জুলাই বড় অনুষ্ঠান করবে তৃণমূল। তার পর ঘোষণা দ্বিতীয় দফা কর্মসূচির। চলবে দুর্গাপুজোর আগে পর্যন্ত। দীপাবলির পর শুরু হবে তৃতীয় দফা কর্মসূচি। প্রথমে ২ মে অর্থাৎ তৃতীয় তৃণমূল সরকারের বর্ষপূতির দিন থেকেই এই জনসংযোগ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, ২ মে ইদ রয়েছে। তাই ওই দিনের বদলে ৫ মে থেকে শুরু হবে কর্মসূচি। দলের নেতা-কর্মীদের এলাকায় এলাকায় পোস্টার প্রদর্শনীর পরামর্শ দিলেন মমতা।
এদিন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দলনেত্রীর বার্তা, “ভোটে জিতে ভুলে গেলে চলবে না। সারা বছর নিজের ব্লকে, নিজের এলাকায় থাকতে হবে। পকেটের লোক নয় জনতার লোক হন।” এদিন তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কদের খরচের ক্ষেত্রে দলের উপর থেকে নির্ভরশীলতা কমানোর পরামর্শ দেন দলনেত্রী। মমতা সাফ জানিয়ে দেন,”তৃণমূল কংগ্রেস করলে আদর্শ নিয়ে করতে হবে।” সব মিলিয়ে দলের নেতাদের বাংলার মাটি-মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আরও নিবিড় করার পরামর্শ দিলেন মমতা।
2. তৃণমূলে যোগ দিয়েই বড় প্রাপ্তি। দলের সহ-সভাপতি হলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের বৈঠকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘাসফুল শিবিরের সদস্য হলেন তিনি।
বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল জয়প্রকাশ মজুমদারের । প্রকাশ্যে দলবিরোধী মন্তব্য করছিলেন তিনি। যার জেরে শোকজের মুখে পড়তে হয় জয়প্রকাশকে। দলের সিদ্ধান্তে তাঁকে সাময়িক বরখাস্তও করে বিজেপি। যার জেরে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে জয়প্রকাশের। একাধিকবার গোপনে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। যার জেরে কানাঘুষো শুরু হয়েছিল যে, বিক্ষুব্ধ বিজেপিরা একজোট হচ্ছে। জয়প্রকাশের দলবিরোধী মন্তব্য উসকে দিয়েছিল জল্পনা। তাঁর বিজেপির সঙ্গে বরাবরের জন্য সম্পর্ক ছিন্ন করা সময়ের অপেক্ষা, এমনটাই মনে করছিল রাজনৈতিক মহল।
অবশেষে সেই জল্পনাতেই সিলমোহর পড়ল। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির বৈঠকেই দলে যোগ দিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।