বিয়ে করতে চান যুবক। তাই খোঁজ চলছে পাত্রীর। আর পাঁচজন এক্ষেত্রে যা করেন, তিনিও তাই করেছেন। দিয়েছেন বিজ্ঞাপন। তবে যেমন তেমন করে নয়। একেবারে বিলবোর্ড ভাড়া করে লন্ডনের টিউব স্টেশনে দিয়েছেন ঢাউস বিজ্ঞাপন। আর তা নিয়েই যত হইচই। আসুন শুনে নেওয়া যাক, এই নজরকাড়া বিজ্ঞাপনদাতার কথা।
বিজ্ঞাপন দিয়ে পাত্রী খোঁজা তো নতুন কিছু নয়। সেই বিজ্ঞাপনের ভাষা নিয়েও থাকে নানা প্রশ্ন। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যম সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে পাত্রীর গায়ের রং উল্লেখ থাকলে সেই বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হবে না। এহেন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বহু মানুষ। ভারতবর্ষের মতো দেশে এ খুব জরুরি সিদ্ধান্ত সন্দেহ নেই। তবে ‘পাত্রী চাই’ এই মর্মে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভিনদেশের মাটিতে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক যেভাবে নজর কাড়লেন, তার জুড়ি মেলা ভার।
আরও শুনুন – চালচলন বন্য জন্তুর মতোই, ১৮ বছর বন্য জীবন কাটিয়েছিল ‘মোগলি গার্ল’
‘জীবনকে জীবনসঙ্গী খুঁজে দিন’। এই হল বিজ্ঞাপনের সারমর্ম। তবে না, কোনও সংবাদমাধ্যম কিংবা ওয়েব সাইটে তিনি এই বিজ্ঞাপন দেননি। লন্ডনের টিউব স্টেশনের যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য তিনি দুখানা ঢাউস বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। তার জন্য ভাড়া নিয়েছেন বিলবোর্ড। জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে পকেটে কোপ পড়েছে ভালই, প্রায় ২ লক্ষ টাকা। তবে কুছ পরোয়া নেহি! জীবনসঙ্গী খুঁজতে খরচপাতি নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাচ্ছেন না তিনি।
আরও শুনুন – অর্ধেক মানুষ, অর্ধেক মাছ! আশ্চর্য মমি দেখে চক্ষু চড়কগাছ বিজ্ঞানীদের
যুবকের নাম জীবন বাচু। বয়স ৩১। পেশাগত ভাবে মার্কেটিং-এর সঙ্গেই যুক্ত। ঢাউস বিজ্ঞাপনে দেখা আছে গোলাপি স্যুট পরে জীবন বেশ নায়কের স্টাইলেই পোজ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আর তার সঙ্গে লেখা আছে বার্তা যে, জীবন চাইছে জীবনসঙ্গী। নিজের ওয়েবসাইটেরও হদিশ সেখানে দিয়ে রেখেছেন তিনি। তা হঠাৎ এমনতর বিজ্ঞাপন দেওয়ার শখ কেন তাঁর? জীবনের আঙুল কোভিডের দিকে। লকডাউনের কারণে সম্ভাব্য পাত্রীদের সঙ্গে তেমন দেখাসাক্ষাৎ করা যাচ্ছে না। এদিকে চলতি অ্যাপগুলো ব্যবহার করেও তেমন ফল পাননি। তা ছাড়া জীবন সামনাসামনি কথাবার্তা বলায় বিশ্বাসী। খচরখচর মেসেজ লেখা বা ভারচুয়ালি কথাবার্তা তাঁর বিলকুল না-পসন্দ। সবদিক খতিয়ে দেখে তিনি ভাবলেন, এমন একটা কিছু করতে হবে, যা বেশ সৃষ্টিশীল হবে। এবং যাতে চট করে নজরও টানা যায়। সেই হেতু এই বিজ্ঞাপন। তা প্রতিক্রিয়া কেমন মিলল? যুবক জানাচ্ছেন, ভালই। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে ইতোমধ্যে। অবশ্য এই সুযোগে কিছু মানুষ মশকরা করতে মিথ্যে পরিচয় দিয়েও ঢুকে পড়েছে। তবে সে সব বেনোজল সরিয়ে রেখে জীবন খুঁজে নিতে চাইছেন তাঁর জীবনসঙ্গীকে।
তবে জীবন প্রথম যে এ কাজ করছেন তা নত। এর আগে জিম ব্যাস নামে এক ভদ্রলোকও এই কীর্তি করেছিলেন। তা নিয়েও হইচই হয়েছিল বিস্তর। জীবন কি তাঁর থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন? সে উত্তর অবশ্য মেলেনি।