রুশ গোলায় ইউক্রেনে মৃত্যু ভারতীয় পড়ুয়ার। ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারে পদক্ষেপ নয়াদিল্লির। কলকাতা বইমেলার ব্যানারে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘মৃত্যুদিন’, তুঙ্গে বিতর্ক। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য। উত্তাল বিশ্বভারতী। কমল ২৪ ঘণ্টার করোনা সংক্রমণ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 28 ফেব্রুয়ারি 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- শুরু হল ৪৫তম কলকাতা বইমেলা, উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
বিস্তারিত খবর:
1. আশঙ্কাই সত্যি হল শেষমেশ। ইউক্রেনে রুশ হামলায় প্রাণ গেল ভারতীয় পড়ুয়ার। মঙ্গলবার সকালে খারকভে রুশ গোলায় মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয় পড়ুয়ার। টুইট করে জানাল বিদেশমন্ত্রক। এই প্রথম ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে কোনও ভারতীয়ের মৃত্যুর খবর মিলল।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, নিহত ভারতীয় পড়ুয়ার নাম নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানাগোদার। তিনি কর্ণাটকের বাসিন্দা। ইউক্রেনে গিয়েছিলেন মেডিক্যাল পড়তে। মঙ্গলবার সকালে খারকভে শেলিং চলাকালীন প্রাণ যায় তাঁর। যুদ্ধের আবহে নিরাপদে থাকার জন্য কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ফ্ল্যাটের নিচে একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। এদিন সকালে খাবার কিনতে ওই এলাকারই এক দোকানের বাইরে লম্বা লাইনে দাঁড়ান ২২ বছরের নবীন। সে সময় রুশ গোলায় গুঁড়িয়ে যায় প্রশাসনিক ভবন। সেই আগুনেই ঝলসে যান নবীনও।
এদিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী টুইট করে বলেন, “গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আজ সকালে খারকভে শেলিংয়ের জেরে এক ভারতীয় পড়ুয়ার প্রাণ গিয়েছে।আমরা এই ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত।” বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছে, “রাশিয়া এবং ইউক্রেনে আমাদের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফের ভারতীয়দের নিরাপদে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরাল করতে বলেছি। দুই দেশের দূতাবাসের তরফেও সেই দাবি জানানো হয়েছে।”
মঙ্গলবার নবীনের বাড়িতে ফোন করে সহানুভূতি জানান কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। ফোন করে পরিবারের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। টুইট করে শোকপ্রকাশ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
2. ছ’দিনে উদ্ধার হয়েছেন মাত্র হাজার দেড়েক। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে এখনও আটকে হাজার হাজার ভারতীয়। এদিকে পরিস্থিতি ক্রমশ বিপদসংকুল হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে খানিকটা বেগতিক দেখেই বায়ুসেনাকে উদ্ধারকাজে নামার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার সকালে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সাথে বিশেষ বৈঠক করেন মোদি। এরপরেই জানা যায়, ভারতীয় বায়ুসেনাকেও উদ্ধার কাজে নামার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। হাতে সময় খুবই কম। তাই বিপুল সংখ্যক ভারতীয়কে উদ্ধার করতে বায়ুসেনার সাহায্যই একমাত্র উপায় বলে মনে করছে সরকার। এছাড়া আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের কাছে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতেও বিকল্প নেই বায়ুসেনার। ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানগুলি উদ্ধারকার্যে ব্যবহার করতে পারে বলে সূত্রের খবর।
ভারতীয় বায়ুসেনার তরফেও জানা গিয়েছে, তারা উদ্ধারকার্যের জন্য সম্পূর্ণরূপে তৈরি। সরকারি আধিকারিক সূত্রে খবর, আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি আছে বায়ুসেনার কাছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত চারটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন মোদি। বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকদের প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন পোল্যান্ড, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, এবং স্লোভাকিয়া থেকে ফিরে আসা পড়ুয়াদের জন্য যেন সঠিকভাবে সমস্ত ব্যবস্থাপনা করা হয়।
ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র সরকার। ইতিমধ্যে জোরকদমে চলছে ‘অপারেশন গঙ্গা’। স্লোভাকিয়া ও রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদি। স্লোভাকিয়ায় উদ্ধারকাজ চালাতে কিরেন রিজিজুকে বিশেষ দূত হিসেবে পাঠানো হয়েছে। রোমানিয়ায় পাঠানো হয়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। এদিকে, ইউক্রেনে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে নতুন নির্দেশিকা জারি করে অবিলম্বে কিয়েভ ছাড়তে বলা হয়েছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।