রুশ আগ্রাসন রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। চাইলেন ‘রাজনৈতিক সহায়তা’। রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পেশ আমেরিকার। ভোট দিল না ভারত। ব্রিটেনের সঙ্গে সামরিক মহড়াও বাতিল ভারতীয় বায়ুসেনার। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। আশঙ্কা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের। LIC-র শেয়ার প্রসঙ্গে বড় সিদ্ধান্ত।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ইউক্রেনের রুশ আগ্রাসন থামাতে এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি ফোন করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার বিকেলে মোদিকে ফোন করে ‘রাজনৈতিক সাহায্যে’র আরজি জানালেন তিনি। টুইটে নিজেই এ কথা জানালেন জেলেনস্কি। প্রায় ১ লক্ষ রুশ সেনা ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধ থামাতে একসঙ্গে কাজ করার আরজি জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
এর আগে যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রথমদিকে দিল্লিতে অবস্থিত ইউক্রেন দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সাহায্য চেয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, মোদি হস্তক্ষেপ করলেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুরোদমে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া থেকে রাশিয়াকে বিরত করা সম্ভব। সেই আবেদন মেনে সেদিন রাতেই রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ফোন করেন মোদি। শান্তির বার্তা দিয়ে জানান, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে।
এরপর যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশ এগিয়েছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করেছে রুশ সেনা। এবার জেলেনস্কি সাহায্যের আবেদন নিয়ে সরাসরি ফোন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনও ভারতের বহুদিনের বন্ধু। এখন দুই মিত্রদেশের লড়াইয়ে ভারত ঠিক কোন ভূমিকা নেয়, তা বোঝা যাবে মোদির আগামী পদক্ষেপে।
2. ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। আমেরিকা ও ন্যাটো জোটের আশ্বাস সত্ত্বেও দুর্দমনীয় রুশ ফৌজের সঙ্গে একাই লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। এহেন পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে পেশ করে আমেরিকা। সেই প্রস্তাবে ভোট না দিয়ে কার্যত রাশিয়ার পাশেই দাঁড়াল ভারত। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আমেরিকার নিন্দা প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত চিনও।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারতের সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল ইউক্রেন। সেদেশের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দৌত্যের আরজি জানিয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠেছিল, এবার কি মার্কিন চাপে ঐতিহাসিক বন্ধু রাশিয়ার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে ভারত? কিন্তু রাষ্ট্রসংঘে মোদি সরকার স্পষ্ট করে দিল যে কিছুতেই মস্কোর হাত ছাড়বে না তারা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ব্রিটেনের বিমানবাহিনীর সঙ্গে সামরিক মহড়াও বাতিল করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনে যুদ্ধের আবহে পশ্চিমের সঙ্গে কোনও ধরনের সামরিক মহড়ায় যেতে চায় না ভারত। কারণ, এর ফলে রাশিয়ার কাছে নেতিবাচক বার্তা যাবে। আর লন্ডনের চাইতে ভারতের প্রতিরক্ষা ও বিদেশনীতির জন্য মস্কো যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই বার্তাও স্পষ্ট দিল নয়াদিল্লি।
এদিকে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ৩ শিশু-সহ ১৯৮ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের উপর রাশ টেনেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সাড়ে তিন হাজার রুশ সেনা জওয়ানকে খতম করা হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বিভাগের। এদিকে অভূতপূর্ব ভাবে যুদ্ধ ছেড়ে রুশ-ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে বসার পরামর্শ দিয়েছে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকা তালিবান সরকার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।