সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে লখনউয়ে মমতা। ফের প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ। জগদীপ ধনকড়কে সরানোর দাবিতে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে। হিজাব বিতর্কে উত্তপ্ত কর্ণাটক। সংক্রমণ সামান্য বাড়লেও রাজ্যে ২ শতাংশ কমল করোনার পজিটিভিটি রেট। উদ্ধার করা হল অরুণাচলে তুষার ধ্বসের মৃত ৭ জওয়ানের দেহ। বিজেপি সমর্থিত মেঘালয় সরকারে যোগ দিলেন কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ক। অস্কারে মনোনয়ন পেল না জয় ভীম।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 7 ফেব্রুয়ারি 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- রাজ্যে শুরু ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’, উৎসাহ পড়ুয়াদের মধ্যে
আরও শুনুন: 6 ফেব্রুয়ারি 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- প্রয়াত কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর, দেশে দু-দিনের জাতীয় শোক
বিস্তারিত খবর:
1. বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে ‘অব কি বার দুশো পার’ স্লোগান তুলেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। এবার সেই সুর শোনা গেল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবকে পাশে নিয়ে মমতার বার্তা, ”অব কি বার অখিলেশ তিনশো পার। অব কি বার অখিলেশজি কি সরকার।” ‘খেলা হবে’ স্লোগানও উঠল। তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, “বিজেপির সঙ্গে খেলা হবে। জিতবে অখিলেশই।”
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলের হয়ে প্রচারে এসেছিলেন সপার অভিনেত্রী-সাংসদ জয়া বচ্চন। সৌজন্যের সেই রীতি বজায় রেখেই উত্তরপ্রদেশ ভোটের আগে অখিলেশের হয়ে প্রচারে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লখনউয়ের ভারচুয়াল সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি অখিলেশকে ভোট দেওয়ার আবেদনও জানান তিনি। এরই পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথকে একের পর এক বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন তিনি। গঙ্গায় কোভিডে মৃতদের দেহ ভাসানো থেকে শুরু করে উন্নাও গণধর্ষণ – সমস্ত বিষয় উল্লেখ করে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগীর উদ্দেশে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ”আগে ক্ষমা চান, তারপর ভোট চাইবেন।” এ প্রসঙ্গে তাঁর আরও আক্রমণ, ”বাংলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাবেন বলে তো গিয়েছিলেন প্রচারে। কিন্তু সেখানে আপনাদের ফল কী হল, দেখলেন তো। এবার বিজেপিকে উত্তরপ্রদেশের মাটি থেকে উৎখাত করার জন্য অখিলেশ যে লড়াই চালাচ্ছেন, তাতে ওর সঙ্গে আমিও এতে শামিল।”
উত্তরপ্রদেশে সপা সরকার জিতলে নতুন শিল্প হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, “অখিলেশ জিতলে বাংলা-উত্তরপ্রদেশ মিলে শিল্প হবে। উত্তরপ্রদেশ ভাল থাকলে গোটা দেশ ভাল থাকবে। সপা জিতলে নতুন ভোর আসবে উত্তরপ্রদেশে।” বিধানসভা ভোটে অখিলেশের জয়ের পর ফের উত্তরপ্রদেশে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একইসঙ্গে মথুরার প্যাঁড়া খাওয়ার আবদারও করে এলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের কাছে।
2. পঞ্জাবের ভোট সামনেই। আরও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে শোনা গেল বিতর্কিত শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ। এবার প্রধানমন্ত্রী শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তুললেন সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণে। মোদি অভিযোগ করলেন, কংগ্রেসের জন্যই হাজার হাজার শিখকে বেঘোরে মরতে হয়েছে। কংগ্রেসের জন্যই আজও দাঙ্গার ক্ষত বয়ে বেড়াতে হচ্ছে পাঞ্জাবকে।
দিন কয়েক আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সংসদের দাঁড়িয়ে মোদি সরকারকে তুলোধোনা করেছিলেন। বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, কংগ্রেস না থাকলে আজ দেশে গণতন্ত্র থাকত না। অভিযোগ করেছিলেন, আজ কংগ্রেস কেন্দ্রে নেই, তাই মোদি সরকার রাজার মতো শাসন করছে। রাহুলের সেই কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় মোদি বললেন,”কংগ্রেস না থাকলে আজ দেশের গণতন্ত্র পরিবারতন্ত্রের ছায়া মুক্ত হত। কংগ্রেস না থাকলে আজ জাতীয়তাবাদের দিকে এগোতো দেশ। কংগ্রেস না থাকলে আজ দেশের বুকে জরুরি অবস্থার কালো দাগ থাকত না।”
এরপরই মোদি চলে আসেন শিখ দাঙ্গা, এবং কাশ্মীরি পণ্ডিত নিধন ইস্যুতে। বলেন,”আজ কংগ্রেস না থাকলে শিখদের গণহত্যা হত না। পাঞ্জাবকে বছরের পর বছর সন্ত্রাসবাদের জ্বালা বয়ে বেড়াতে হত না।” পাঞ্জাবের ভোটের ঠিক আগে আগে মোদির এই শিখ দাঙ্গা স্মরণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।