দেশ জুড়ে বাগদেবীর আরাধনা। প্রথা ভেঙে স্কুলের পুজো সারলেন অশোকনগরের দশম শ্রেণির ছাত্রী। লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি। কমল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। করোনা নিয়ে এবার নয়া উদ্বেগ। চিকিৎসক-সহ বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্যভবনের। বর্তমানে ১.৫৪ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক যোগী, দাবি হলফনামায়।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. বাগদেবীর আরাধনায় মাতল গোটা দেশ। করোনাতঙ্ক কাটিয়ে নতুন বছরে অনেক রাজ্যেই নতুন করে স্কুলে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। আর তাতেই আরও জমজমাট সরস্বতী পুজোর আনন্দ। এমন উৎসবের দিনে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বীণাপানির আরাধনায় কবিতা লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী হিন্দিতে টুইট করেন। লেখেন, “সকল দেশবাসীকে বসন্ত পঞ্চমী এবং সরস্বতী পুজো অনেক শুভকামনা। আপনাদের উপর যেন মা সারদার কৃপা সবসময় থাকে। সকলের জীবন আনন্দে কাটুক।” টুইটারে হিন্দি ভাষায় শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। তিনি প্রত্যেকের জীবনে শুভ, শান্তি ও সম্বৃদ্ধি কামনা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য ছন্দে ছন্দে বাগদেবীর বন্দনা করেছেন। টুইটারে কবিতা পোস্ট করেই তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যবাসীকে।
এদিকে, বসন্ত পঞ্চমীর শুভেচ্ছায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর টুইটে আবার উঠে এসেছে কৃষকদের কথা। জনৈক কৃষকের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, কিষানদের পরিশ্রম তখনই সফল হয় যখন খেত ভরে উঠলে ফসলে। সকলকে বসন্তপঞ্চমীর শুভেচ্ছা। স্কুল খুলে যাওয়ায় রাজ্যের প্রায় সব স্কুলেই বীণাপাণির বন্দনায় শামিল হয়েছিল পড়য়ারা। সরস্বতী পুজোয় হাতেখড়ি হওয়া বাঙালি রেওয়াজ। সাবেকি প্রথা মেনেই এদিন হাতেখড়ি হল তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলের। রাজ্যের সব পড়ুয়াকে সরস্বতী পুজোর শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন অভিষেক।
2. দুই প্রথাভাঙা উদ্যোগে বাংলায় স্মরণীয় হয়ে থাকল এ বছরের সরস্বতী পুজো। দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন রাজ্যের দুই প্রান্তের দুই কন্যা। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের দশম শ্রেণির ছাত্রী পুরোহিতের আসনে বসে সারলেন বাণীবন্দনা। বীরভূমের ইলামবাজারে আবার এক আদিবাসী কন্যার হাতে পূজিতা হলেন বিদ্যার দেবী। দু’জনেরই উৎসাহদাতা দুই শিক্ষক-শিক্ষিকা। অশোকনগর বিদ্যাসাগর বাণীভবন উচ্চবিদ্যালয়। এখানকার দশম শ্রেণির ছাত্রী শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়। ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে শর্মিষ্ঠা পুজো করার তালিম নিয়েছে। তার বাবা পুরোহিত। তিনিই মেয়েকে শিখিয়েছেন পুজোর খুঁটিনাটি। স্কুলের প্রধান শিক্ষকও শর্মিষ্ঠার এই ইচ্ছেকে উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। এ বছর স্কুলের পুজোটা শর্মিষ্ঠাই করুক, এই ভাবনাকে সিলমোহর দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। তারপরই নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে অশোকনগর বিদ্যাসাগর বাণীভবন উচ্চবিদ্যালয়ে দেবী সরস্বতী পূজিতা হলেন শর্মিষ্ঠার হাতে।
পাশপাশি বীরভূমের ইলামবাজারে আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য ছোট্ট স্কুল গড়ে তুলেছিলেন শিক্ষিকা প্রীতিকণা দেবী। আর সেই প্রতিষ্ঠানেই আজ পূজিতা হলেন দেবী সরস্বতী, এক আদিবাসী ছাত্রীর হাত ধরে। চৈতালি মুর্মু নামে কিশোরী সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণ করে বাগদেবীর আরধনায় মেতে ওঠে। এই প্রথম কোনও আদিবাসী ছাত্রী পুরোহিতের আসনে বসিয়ে প্রথা ভাঙার কাজটা অনেকটাই এগিয়ে দিলেন প্রীতিকণা দেবী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।