বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ‘সপা’ ক্ষমতায় এলে যোগীর বিরুদ্ধে তদন্ত। হুমকি অখিলেশের। মমতাকে তলব করল মুম্বইয়ের নিম্ন আদালত। ইউনেস্কোর স্বীকৃতিকে সামনে রেখে রাজ্যে বেরোবে বিশাল মিছিল। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বললেন মোদি। রাজ্যে সামান্য বাড়ল করোনা সংক্রমণ। রাজধানীতে বসতে চলেছে পিভি সিন্ধু, নীরজ চোপড়াদের মূর্তি।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 31 জানুয়ারি 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুল-কলেজ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1. প্রত্যাশিতভাবেই ফের তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর বিরুদ্ধে কেউই মনোনয়ন জমা দেননি। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপার্সন পদে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাংগঠনিক নির্বাচনের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ার পরই মমতা বলেন, তৃণমূলের ভিত্তি এই বাংলায়। তাই বাংলায় দলের শক্তি আরও বাড়াতে হবে। রাজ্যে দলের কর্মীদের লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দেন। সাফ জানিয়ে দেন, সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিকে হারাতে বাংলা থেকে বিয়াল্লিশে ৪২ আসনই জিততে হবে। মমতা আরও বলেন, “আমরা অনেক রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। উত্তরপ্রদেশে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। অখিলেশকে সমর্থন করতে আমি ইউপি যাচ্ছি। লোকসভায় আমি লড়ব। এখন চাই অখিলেশ লড়ুক। গোয়াতেও মাত্র ২ মাসে আমরা লড়াই করেছি। এখনও লড়াই করছি। ত্রিপুরা আমরা নেবই। সিভিক সোসাইটিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন ফ্রন্ট করে দেশজুড়ে কাজ করুন। দু’বছর আমাদের হাতে সময় আছে। ৪২-এ ৪২ চাই। বাংলা মজবুত করে, ঘর মজবুত করে চব্বিশে বিজেপিকে সরাতে হবে।”
এদিন দলনেত্রী আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বিজেপিই তাঁর পয়লা নম্বর শত্রু। তবে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যদি কংগ্রেস একমঞ্চে না আসে, তাহলে একলাই চলবে তৃণমূল।
2. ফের তৃণমূলের চেয়ারপার্সন হয়েই বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজেট থেকে পেগাসাস, একাধিক প্রসঙ্গে উগরে দিলেন একরাশ ক্ষোভ। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, “এভাবে মুখ বন্ধ করানো যাবে না। লড়াই চলবেই।” নতুন করে পদে আসীন হয়েই কর্মীদের বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেদের মধ্যে লড়াই না করে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন। এরপরই একাধিক ইস্যুতে কড়া আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা এদিন বলেন, “বিজেপির তিনটে রত্ন। ইডি, সিবিআই, আর টাকা। এভাবে কোনওদিন চলতে পারে না।” পদ্ম পুরস্কার প্রসঙ্গে মমতা বলেন, পদ্ম ভূষণকে ওরা দূষণে পরিণত করেছে।” বাজেট প্রসঙ্গেও এদিন ফের বিজেপিকে ভর্ৎসনা করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “বিজেপি চু কিতকিতের দলে পরিণতি হয়েছে। শুধু হিরে মানুষ রান্না করে খাবে। বাজেটে শাক নেই, ধান নেই। শুধু হিরে। কর্মসংস্থান শূন্য। যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও চিন্তা নেই।” এদিন ফের পেগাসাস ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন ফের আরও একবার বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নাম না করেই এদিন তিনি বলেন, যিনি নিজেকে সবজান্তা মনে করেন, তিনি এটা জানেন না যে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া যখন খুশি যে কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের তলব করা যায় না। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালকে ‘ঘোড়ার পাল’ বলতেও ছাড়েননি মমতা। সাধারণতন্ত্র দিবসের উল্লেখ করে ধনকড়কে ‘পেগাসাসের আরেক বন্ধু’, ‘ছোট দালাল’ বলে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন রাজ্যপাল। অবৈধ কাজ প্রমাণিত হলে ইস্তফা দেবেন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।