নিভৃতবাসের মেয়াদ ফুরিয়েছে। ভাবছেন একটা টেস্ট করিয়ে নেবেন! তা করিয়ে নিতে পারেন। যদি নেগেটিভ আসে তো ল্যাটা চুকেই গেল। কিন্তু যদি পজিটিভ রিপোর্ট ফের চলে আসে! তাহলে কী করবেন? আসুন এ ব্যাপারে কী জানাচ্ছে সিডিসি, শুনে নেওয়া যাক।
সম্প্রতি কমেছে নিভৃতবাসের মেয়াদ। দিন পাঁচেক নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখলেই চলবে, এমনটাই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এখন, এই মেয়াদ ফুরোবার পর একেবারে নিশ্চিন্ত হতে অনেকেই একবার টেস্ট করিয়ে নিচ্ছেন। কেউ যদি তা করাতে চান তো আপত্তি নেই। তবে সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সিডিসি জানাচ্ছে, এই মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পর আর টেস্ট না করালেও চলবে। তাঁদের মত, শরীরে যদি আর কোনও উপসর্গ না দেখা যায়, তবে নিভৃতবাস শেষ করা যাবে অনায়াসে।
আরও শুনুন – ওমিক্রন আবহে সর্দি-কাশি ভয়ের বিষয় নাকি শাপে বর! বিশেষজ্ঞরা বলছেন…
তবে এক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার দিনটিকে চিহ্নিত করতে হবে সঠিক ভাবে। যেদিন থেকে উপসর্গ দেখা দিচ্ছে বা যেদিন রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে সেই দিনটিকে ধরে দিন পাঁচেকের হিসেব কষতে হবে। তার মধ্যে শারীরিক অবস্থার উন্নতি খেয়াল রাখতে হবে। যদি পাঁচ দিন পরে কেউ আর একবার টেস্ট করিয়ে নিতেই চান, তবে সিডিসি-র মতে, চাইলে কেউ এক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন টেস্ট করিয়ে নিতেই পারেন। তবে মাথায় রাখতে হবে জ্বর ছেড়ে যাওয়ার অন্তত ২৪ ঘণ্টা পরেই যেন টেস্ট করা হয়। এবার, যদি রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাহলে আরও কিছুদিন নিভৃতবাস চালিয়ে যাওয়াই ভালো। অর্থাৎ ৫ দিনের বদলে এখানে নিভৃতবাসের মেয়াদ হয়ে যাবে দশ দিন। আর যদি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তাহলে তো বাড়তি চিন্তার কিছু থাকল না। তবে সতর্ক থাকতেই হবে। মাস্ক পরা বা কোভিড বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে যথাযথ ভাবে।
আরও শুনুন – মুখ ঢেকে যায় মাস্কে! উঁহু, এর দৌলতে নাকি খোলতাই হয়েছে মানুষের রূপ, মত বিজ্ঞানীদের
তবে এখানে একটা ধন্দের বিষয় থেকে যায়। অনেকেরই নিভৃতবাসের পরও রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। যদিও তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ থাকছে না। সেক্ষেত্রে কী করণীয়? বিভ্রান্ত হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। তাঁদের নিশ্চিন্ত করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আরটি-পিসিআর টেস্টে এরকম রিপোর্ট আসতেই পারে। তাতে চিন্তার কিছু নেই। কেননা নাজাল সোয়াবের মধ্যে ‘ডেড কোভিড’ থেকে যেতে পারে। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি কোভিড শরীরে না থাকলেও এই ধরনের রিপোর্ট আসতে পারে, যাকে চিকিৎসকরা বলছেন ‘ফলস পজিটিভ রিপোর্ট’। বহু ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। তাই চিকিৎসকদের অভিমত, এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যদি নিভৃতবাসের মেয়াদ পেরনোর পর শরীরে লক্ষণ বা উপসর্গ আর না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে তিনি সুস্থই হয়ে গিয়েছেন। তাঁর থেকে অন্য কারোর যে সংক্রমণ ছড়াবে, এরকম সম্ভাবনাও নেই।
আরও শুনুন – কবে থামবে ওমিক্রন ঝড়! তৃতীয় ঢেউ শেষের সময় জানালেন বিশেষজ্ঞরা
অর্থাৎ সব মিলিয়ে সিডিসি-র মতে, শরীরের উপসর্গ বুঝে ৫ দিন বা বেশি হলে দশ দিনের নিভৃতবাসই যথেষ্ট। যদি টানা ২৪ ঘণ্টা জ্বর না আসে এবং অন্যান্য অসুস্থতার লক্ষণ দেখা না যায়, তাহলেই এই নির্দিষ্ট সময় পরে একজন ব্যক্তি তাঁর নিভৃতবাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। রিপোর্টে ফলস পজিটিভ থাকার সম্ভাবনা থেকে যাওয়ায় নতুন টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে বাড়তি ভাবনার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে হ্যাঁ, মাথায় রাখতে হবে, সাবধানের মার নেই। তাই সতর্ক থাকা এবং কোভিডবিধি মেনে চলায় কোনও ফাঁকি দিলে চলবে না।