চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের উদ্বোধনে একই মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গে মোদিকে বিঁধলেন মমতা। কোভিডবিধি মেনেই হবে গঙ্গাসাগর মেলা। সংক্রমণ রুখতে নির্দিষ্ট দিনে বন্ধ থাকবে শহর ও শহরতলির একাধিক বাজার। বাড়তি সতর্কতা বিদেশফেরত যাত্রীদের ক্ষেত্রেও। পৌষের বৃষ্টিতে টানা ৪ দিন ভিজবে বাংলা। পুরভোট মামলায় কমিশনের অবস্থান জানতে চাইল হাই কোর্ট।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. দীর্ঘদিন পর একই অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে শুক্রবার ভারচুয়ালি উপস্থিত ছিলেন দু’জনই। আর সেখানেই স্বাস্থ্য পরিষেবায় রাজ্যের একাধিক দিকের তথ্য তুলে ধরে পরোক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিউটাউনে যে ক্যাম্পাসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী, তা অনেক আগেই চালু করা হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, রাজ্যে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বণ্টন করা হয়, অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সেই দাবিও তুললেন মমতা। ফলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যেও রয়ে গেল কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্বের কাঁটা।
দীর্ঘদিন পর কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ প্রকল্পের সূচনায় প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির দিকে নজর ছিল সব মহলের। দেখা যায়, নিজের বক্তব্যে শুরু থেকেই তথ্য-পরিসংখ্যানের দিকে জোর দিলেন মমতা। চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির ২৫ শতাংশ খরচ দিয়েছে রাজ্য। প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যের ভূমিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, করোনা কালে এই ক্যাম্পাসে কাজ শুরু করা খুবই প্রয়োজন ছিল সেসময়। তাই আগেই উদ্বোধন করে তা চালু করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। পাশাপাশি রাজ্যে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়েও তিনি কার্যত বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর কথায়, ”আপনারা বুস্টার ডোজ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, খুব ভাল। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ না সম্পূর্ণ হলে কীভাবে বুস্টার ডোজ দেব। আগে রাজ্য পর্যাপ্ত দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন পাক, ১০০ শতাংশের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হোক, তারপর বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শুরু হবে।” এছাড়া স্বাস্থ্যসাথী-সহ রাজ্যের একাধিক স্বাস্থ্যপ্রকল্পের কথাও এদিন উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
2. কোভিড আবহে শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলা করার অনুমোদন দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শর্তপূরণ হচ্ছে কি না দেখার জন্য নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গড়ে দিয়েছেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। কোনও শর্ত লঙ্ঘিত হলে তৎক্ষণাৎ মেলা বন্ধের নির্দেশ দিতে পারে উচ্চ আদালত, বলে জানিয়েছেন তিনি।
আদালতের শর্ত অনুযায়ী, ১৯৭৬ সালে ‘গঙ্গাসাগর মেলা আইন’ ৩ নং ধারা অনুযায়ী, সাগরদ্বীপকে ‘নোটিফায়েড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। গঙ্গাসাগর মেলায় বিধিনিষেধ মানার জন্য ২ জানুয়ারি রাজ্য যেসব প্রস্তাব দিয়েছিল, তার প্রত্যেকটি যথাযথভাবে মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করবেন স্বরাষ্ট্রসচিব। তাঁর নেতৃত্বে গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় এড়ানো নিয়ে এবং সমস্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে, যাতে মানুষ এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পান। অযথা আতঙ্ক এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলায় অংশগ্রহণে উৎসাহ করার জন্য বিজ্ঞাপন দিতে হবে। শর্তপালনের দিকে নজর রাখার জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধির নেতৃত্বে তৈরি কমিটিতে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বা তাঁর নির্বাচিত কোনও প্রতিনিধি এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বা তাঁর নির্বাচিত প্রতিনিধি।
তবে মেলার শুরুর আগেই থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। বাবুঘাটের ট্রানজিট ক্যাম্পে RT-PCR টেস্টে ৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে খবর। এই ক্যাম্প থেকেই গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে রওনা দেন পুণ্যার্থীরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।