কমল করোনা আক্রান্তের আইসোলেশনের সময়। নির্দেশিকা ICMR-এর। দেশে ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু রাজস্থানে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১৪,০২২। রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপ ৬ থেকে ১২ জানুয়ারি। পিছানো হোক চার পুরনিগমের ভোট, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের । করোনার থাবা সিনেমা জগতেও। কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব স্থগিতের সিদ্ধান্ত আয়োজকদের। বিক্ষোভের জেরে ভোটমুখী পাঞ্জাবের রাস্তায় বহুক্ষণ আটকে প্রধানমন্ত্রী।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 4 জানুয়ারি 2022: বিশেষ বিশেষ খবর- রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত ৯০৭৩, করোনা সংক্রমণ বাড়ল দেড় গুণ
বিস্তারিত খবর:
1. করোনা আক্রান্তের নিভৃতবাসের সময়সীমা কমানো হল দেশে। ১৪ দিন নয়, এখন সাত দিন আইসোলেশনে থাকাই যথেষ্ট। নয়া নির্দেশিকায় এমনটাই জানাল আইসিএমআর। জানানো হয়েছে, মৃদু উপসর্গ কিংবা উপসর্গহীন হলে ৭ দিন আইসোলেশনে থাকলেই হবে। সেই সঙ্গে দেখতে হবে পরপর ৩ দিন যেন জ্বর না আসে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকলে মাস্ক পরে থাকতে হবে। এছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির এঁটো বাসন ইত্যাদি আলাদা করে রাখতে হবে। এই ধরনের উপসর্গহীনতা কিংবা মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে আইসোলেশনে থাকার পরে নতুন করে কোভিড পরীক্ষা করানো জরুরি নয়। তবে কেউ চাইলে করিয়ে নিতেই পারেন।
ঠিক দু’বছর আগে সংক্রমণের শুরুতে ভারতে কোভিড রোগীদের ১৪ দিন নিভৃতবাসের নিদান দিয়েছিল আইসিএমআর। কোভিডের দ্বিতীয় ধাক্কার সময় ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো অস্ত্র অর্থাৎ ভ্যাকসিন চলে এসেছে। প্রথম সংক্রমণ হওয়ার পর ভারতের বিরাট সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। এর সঙ্গে ছিল ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ। ফলত সংক্রমিত হলেও আক্রন্ত ব্যক্তির শারীরিক উপসর্গ অনেকটাই কম। তাই সেই সময়ে ১০ দিনের হোম আইসলেশন বা নিভৃতবাসের গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়। তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে দাঁড়িয়ে অসুখের তীব্রতা বিবেচনা করে যে আইসোলেশনের সময়সীমা কমতে পারে, সে ইঙ্গিত আগেই ছিল। প্রত্যাশিত ভাবেই এবার সেই ঘোষণা করা হল আইসিএমআর-এর তরফে।
2. ওমিক্রনের দাপটে দেশে প্রথম মৃত্যু। রাজস্থানের এক ব্যক্তির মৃত্যু যে ওমিক্রনের প্রভাবেই হয়েছে, তা বুধবার মেনে নিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। জানিয়ে দেওয়া হল, গত ৩১ ডিসেম্বর রাজস্থানের ৭৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে ওই একজনেরই মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ওই ব্যক্তি গত ১৭ বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ছিল উচ্চ রক্তচাপও। করোনার দু’টি টিকাই নেওয়া ছিল তাঁর তবে কো-মর্বিডিটির কারণেই স্বাস্থ্যের অবনতি হয়।
দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত আট দিনে দেশে পজিটিভিটি রেট ছ’ গুণ বেড়েছে। শুধু মহারাষ্ট্রে পজিটিভিটি রেট চার গুণ বেড়েছে, দিল্লিতে বেড়েছে ন’ গুণ। এই মুহূর্তে দেশের ১৫৬টি জেলায় করোনার পজিটিভিটি রেট ২ শতাংশেরও বেশি। দেশের ২৮ টি জেলার পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের উপরে। যা রীতিমতো উদ্বেগের। যে রাজ্যগুলিতে কোভিড সবচেয়ে দ্রুতহারে বাড়ছে সেগুলি হল, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড, গুজরাট।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক হল করোনার সংক্রমণের গতি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের দেওয়া তথ্য বলছে, গত ৮ দিনে দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে ৬.৩ গুণ। গত ২৯ জানুয়ারি দেশের পজিটিভিটি রেট ছিল ০.৭৯ শতাংশ। সেখানে ৫ জানুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.০৩ শতাংশ। ক্রমবর্ধমান এই পজিটিভিটি রেটই ইঙ্গিত করছে, আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে চলেছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।