দেখতে দেখতে হাজির আরও একটা নতুন বছর। নানাবিধ অনুষ্ঠান আর উদযাপনে প্রতিবছরই এই দিনটাকে স্বাগত জানাই আমরা। আতশবাজি, আলোর রোশনাই, খাওয়াদাওয়া, হুল্লোড় আরও কত কী! তবে সব দেশেই যে এমনটাই হয়, তা কিন্তু নয়। বেশ কিছু দেশে বেশ অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডও কিন্তু করা হয় এ সময়টায়। কেউ ভাঙেন প্লেট তো কেউ খান আঙুর। আর সেই সব বিচিত্র কর্মকাণ্ডেই স্বাগত জানানো হয় নতুন বছরকে। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
নতুন বছর মানেই বিশ্বজুড়ে উৎসবের মেজাজ। সেই উৎসব কিন্তু একরকম নয়। তারই ভিতর আছে নানা দেশে পালিত নানা প্রথা।
ইকুইডর নামে দেশটির কথাই ধরা যাক। সেখানে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয় কুশপুতুল দাহ করে। কী ভাবছেন, সেসব তো বিক্ষোভমিছিলে পোড়ানো হয়। হ্যাঁ, তা হয় বটে, তবে ইকুইডরের মানুষ এ ভাবেই নতুন বছরকে স্বাগত জানান। অনেকটা আমাদের ন্যাড়াপোড়ারই মতো। পুরনো, যা কিছু অশুভ তাকে ধ্বংস করে এ ভাবেই নতুনের দিকে এগিয়ে যান তাঁরা। পুরনো জামাকাপড়, খবরের কাগজ, কাঠের গুঁড়ো এসব দিয়েই তৈরি হয় সেই পুতুল।
এর পরেই রয়েছে ডেনমার্কের নাম। সেখানে নতুন বছর পালনের রীতি কী জানেন? ডেনমার্কের লোকেরা নতুন বছরকে স্বাগত জানান কাচের বা চিনেমাটির প্লেট ভেঙে। বন্ধুবান্ধব থেকে আত্মীয়স্বজন, সকলের বাড়ির সামনে গিয়ে এসব ভাঙতে শুরু করেন তাঁরা। ডেনমার্কবাসীর বিশ্বাস, যার বাড়ির সামনে যত প্লেট ভাঙা হবে, নতুন বছর ততই ভাল যাবে তাঁর।
আরও শুনুন: ২০২১ মোটেও গোমড়ামুখো নয়, দেশ-বিদেশের নানা মজার ঘটনা মাতিয়ে রেখেছিল সকলকে
জাপানে শহর জুড়ে এ সময়ে বেজে ওঠে একের পর এক ঘণ্টা। অন্তত ১০৮ বার ঘণ্টাধ্বনি হয়। বৌদ্ধ মতে, ওই ঘণ্টাধ্বনির সঙ্গেই সঙ্গেই সমস্ত দুঃসময়, দুর্বিপাক ও গত বছরের পাপ ধুয়েমুছে যাবে, যাদের ছায়া পড়বে না নতুন বছরে।
দক্ষিণ আমেরিকায় আবার রয়েছে খুবই অদ্ভুত একটা রীতি। এই দিনটায় তারা হরেক রঙের অন্তর্বাস পরতে পছন্দ করেন। একেকটা রং আবার একেক রকম সৌভাগ্যের প্রতীক।
আরও শুনুন: হতাশা থেকে আশাবাদ – ২০২১ আমাদের জীবনে কী পরিবর্তন আনল?
ফিলিপ্পিনসের লোকেরা আবার এ দিনটা সাজিয়ে তোলেন নানাবিধ গোলাকার জিনিসে। সে কয়েন হতে পারে, হতে পারে খাবারদাবার বা পোশাক, তবে যাই হোক না কেন, তা হতে হবে গোল। গোলাকার যে কোনও কিছুই তাদের জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক।
ইটালির রীতিটি সব চেয়ে অদ্ভুতুড়ে! ব্যালকনি কিংবা জানলা থেকে আসবাবপত্র ছুড়ে ছুড়ে ফেলেন তারা। এ ভাবেই নতুন বছর শুরু হয় তাদের। নেপাল বা দক্ষিণ আফ্রিকাতেও রয়েছে এই রীতি।
বাকি অংশ শুনে নিন।