বেজায় গরম লাগলে নয় তিব্বত চলে যাওয়ার নিদান আছে। কিন্তু বেজায় শীতে কী করবেন! কী আবার! একবাক্যে সকলেই বলবেন, লেপ-কম্বলের তলায় ঢুকে পড়ব। সে নয় পড়লেন, কিন্তু গায়ের সোয়েটার কি গায়েই থেকে গেল! ভাবছেন তাতে গরম হবে, আরাম বাড়বে। কিন্তু কিছু বিপদও যে থেকে যাচ্ছে। আসুন শুনে নিই।
শীতের সোয়েটার খুলতেই মন চায় না। ঠান্ডা একটু বেশি পড়লে তো আর কথাই নেই। অনেকেই সোয়েটার সমেত শুয়ে পড়েন। তাতে সুবিধা এই যে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। বিশেষত যাদের ঠান্ডার ধাত তাঁরা অনেক সময়ই এই কাজ করে থাকেন। কিন্তু কাজটা কি ভালো? বিশেজ্ঞরা বলছেন, একদম না। বরং ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে অন্য বিপদ-আপদকে একরকম নেমন্তন্ন করেই ডেকে আনা হয় এতে।
আরও শুনুন: সবজি খেতে বলছেন ডাক্তারবাবু! শীতের জলখাবার জমুক হরেক সবজি-পরোটায়
কী সেই বিপদ? প্রথমত, ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর এই অভ্যাস। কেননা সোয়েটার পরে শুলে ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে যায়, যা ডেকে আনতে পারে একজিমা-র মতো অসুখ। অন্যান্য চর্মরোগও এই সুযোগে মাথাচাড়া দিতে পারে। সোয়েটার পরে শুলে অনেক সময় শরীরে ঘাম দিতে থাকে। তাতে আবার ব্লাড প্রেসারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। হঠাৎ করে প্রেসার কমে গেলে কিন্তু বিপত্তি বাড়বে বই কমবে না। আর যাঁদের হার্টের সমস্যা আছে, তাঁদের তো একেবারেই এই অভ্যাস ছাড়তে হবে। কেননা সোয়েটার পরে থাকার ফলে প্রেসারের সমস্যা যেমন হয়, তেমন শরীরের তাপমাত্রাও আচমকা বেড়ে যেতে পারে। যা ঘুরিয়ে হৃদরোগের প্রবণতা অনেক বাড়িয়ে দেয়। তাই যাঁদের হার্টের সমস্যা আছে, তাঁরা অবশ্যই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।
আরও শুনুন: ঘুমের মধ্যে ঘেমেনেয়ে একশা! ওমিক্রনে আক্রান্ত হননি তো?
অনেকে আবার পা যাতে ঠান্ডা না হয়ে যায়, সেই ভয়ে মোজা পরেই শুয়ে পড়েন। এই অভ্যাসও কিন্তু ভালো নয়। এর ফলে পায়ের পাতায় ব্যাকটিরিয়াঘটিত নানা অসুখের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, ঠান্ডায় কাবু হয়ে গরম জামাকাপড় পরে শুয়ে পড়লে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কেউ কেউ পরামর্শ দেন, যদি একান্তই এই কাজটি করতে হয়, তবে অবশ্যই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। তাতে ত্বকের সমস্যা খানিকটা আটকানো যেতে পারে, কিন্তু অন্য বিপদগুলো আটকাবে না। বিশেষত বডি টেম্পারেচার বা প্রেসারের তারতম্য হলে রাতবিরেতে বিপদ বাড়তেই পারে। তাই ঠান্দার হাত থেকে বাঁচতে এই কাজটি কখনই না করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।