শীত মানে যতই লেপ-কম্বল আর সোয়েটারের আদর হোক, শীত পড়লেই কিন্তু বাড়তে থাকে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা। শীতের রুক্ষ, শুষ্ক হাওয়ায় অনেক সময়েই ফাটতে শুরু করে ত্বক। মুখ, হাত, ঠোঁটকে তো আমরা ক্রিমে-ময়েশ্চারাইজারে যত্নে রাখি, তবে এক্কেবারে ভুলে যাই পায়ের কথা! দিন-রাত ঘরে-বাইরে কম ধকল কিন্তু যায় না তার উপর দিয়েও। ফলে অনেকেই শীতকালে পায়ের ফাটায় কষ্ট পান। কী করে নেবেন পা ফাটার যত্ন। রইল সুলুক সন্ধান।
সারাদিনের ধকলের মধ্যে নিজেদের যত্ন নেওয়ার কথা কিন্তু অনেকেই ভুলে যাই। তবে শীতকাল সে সব কথা মনে করিয়ে দেবেই দেবে। হাওয়ায় উত্তুরে ছোঁয়া লাগতে না লাগতেই টানতে শুরু করে হাত-পা-মুখ। আলমারির তাক থেকে সোয়েটার-কম্বলের মতোই ড্রেসিং টেবিলে উঁকি দিতে শুরু করে বাহারি কোল্ড ক্রিম, লিপ বামেরা। তবে মুখ-হাত নিয়ে আমরা যতটা সচেতন, পায়ের কথাটাও তেমনি ভুলে যাই বেমালুম।
শীত পড়তে না পড়তেই পা ফাটার সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন অনেকে। অনেক সময় তো ফেটে রক্তারক্তি কাণ্ড পর্যন্ত হয়। মোজা পরার সময় কিংবা লেপমুড়ি দিয়ে শোয়ার সময়, বিরক্তির কারণ হয় এই পা-ফাটা। বিশেষত যাঁরা পা-খোলা জুতো পরেন, তাঁরা বেশি ভোগেন এই ধরনের সমস্যায়। আবার দীর্ঘ সময় বেশি চাপা জুতো পরে থাকলেও হতে পারে সমস্যা। তবে জুতো যেমনই হোক, সুন্দর পায়ের কদর কিন্তু কম নয়। আর তার জন্য দামী পার্লারে গিয়ে পেডিকিওরের দরকার নেই মোটেও। চাই শুধু একটু যত্ন। ব্যাস।
আরও শুনুন: ঘুমের মধ্যে ঘেমেনেয়ে একশা! ওমিক্রনে আক্রান্ত হননি তো?
কী ভাবে নেবেন পায়ের যত্ন? আসুন, শুনে নিই।
পা ফাটা আটকানোর প্রথম ধাপই হচ্ছে, পা পরিষ্কার রাখা। ধুলোবালি লাগার ফলে বা দীর্ঘ সময় বন্ধ জুতো পরার কারণে ঘাম জমে অনেক সময়েই ব্যাকটিরিয়া আক্রমণ হয় পায়ের তলাতেও। নখের কোণাতেও জমে ময়লা। সে সব নিয়মিত পরিষ্কার রাখা কিন্তু খুবই জরুরি। ঘরে থাকলে তো কথাই নেই, নাহলে একটু খুঁজলেই বাজারে মিলবে পিউমিক স্টোন। পায়ের মৃত কোষ ঘষে তুলে ফেলতে এই পিউমিক স্টোনের জুড়ি মেলা ভার। মাঝেমধ্যে পিউমিক স্টোন দিয়ে ঘষে পায়ের তলাটা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।
নখের কোণা পরিষ্কার করতেও ভুলবেন না।
মুখ বা হাতের মতো আমাদের পায়ের ত্বকেরও কিন্তু প্রয়োজন ময়েশ্চারাইজার। তাই সময় সুযোগ মতো পায়ের তলায় ভেসলিন বা ময়েশ্চারাইজার লাগানোর অভ্যেস করুন। ব্যবহার করতে পারেন কোনও ফুট ক্রিমও। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে লাগাবেন না। তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি।
আরও শুনুন: মাছ ভাজতে গিয়ে ছিটকে হাতে লাগল গরম তেল! হাতের কাছেই কোন ওষুধ মিলবে জানেন?
শীতকালে চেষ্টা করুন পা ঢাকা জুতো পরার। সম্ভব হলে মোজা পরার অভ্যেস করুন। এবং তা যেন অবশ্যই হয় ব্রিদেবল ফেব্রিক দিয়ে তৈরি। সিনথেটিক মোজার জন্য পায়ে ঘাম হতে পারে, যা ডেকে আনে নানা ধরণের ব্যাকটিরিয়াকে।
ছাড়া মোজা ফের পরার অভ্যেস থাকলে, অবিলম্বে অভ্যাসটি পাল্টান। সারা দিন ঘাম ও ধুলো ভর্তি মোজা কিন্তু ব্যাকটিরিয়া ও জীবাণুর ঘরবাড়ি। না কেচে ফের সেই মোজা পরা মানে জীবাণুকে বাড়িতে আপ্যায়ন করে ডেকে আনা। বাড়িতে চটি পড়ার অভ্যেস করলে ভাল।
বাকি অংশ শুনে নিন।