কলকাতা পুরভোটে জয়জয়কার তৃণমূলের। ১৩৪টি ওয়ার্ডেই জয়ী ঘাসফুল শিবির। বাজিমাত তৃণমূলের মহিলা প্রার্থীদের। ব্যবধান বাড়ল হেভিওয়েটদের। সবুজ ঝড়ে উড়ে গেল বিজেপি। ভোটের হারে দ্বিতীয় সিপিএম। প্রয়াত কবি-সাহিত্যিক শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 20 ডিসেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- নজির গড়ে বাংলায় সম্পূর্ণ ১০ কোটি ডোজ টিকাকরণ
বিস্তারিত খবর:
1. পুরসভার ভোটে প্রত্যাশামতোই বিপুল ভোটে জয় তৃণমূলের। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৪টিই দখল করেছে ঘাসফুল শিবির। সিপিএম, কংগ্রেস– উভয়েরই প্রাপ্তি ২টি করে ওয়ার্ড। ৩টি-তে জয় পেয়েছে বিজেপি। অন্য ৩টি ওয়ার্ডে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। তবে শাসকদল তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে জয়ের পর নিজেরাই জানিয়েছেন তাঁরা। সুতরাং ফের নতুন পুরবোর্ড গড়ার পথে শাসক শিবির।
নিরঙ্কুশ জয়ের পরেই মঙ্গলবার দুপুরে কামাখ্যার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কলকাতার নাগরিকবৃন্দ যেভাবে ভোটে আমাদের সমর্থন করেছেন, মা-মাটি-মানুষকে, আমার ভাই-বোনেদের প্রণাম, অভিনন্দন, সালাম জানাই। আমি মনে করি, এই নির্বাচনটা গণ উৎসবে গণতন্ত্রের জয়।” তিনি আরও বলেন, “কলকাতা এবং বাংলাই সারা দেশকে পথ দেখিয়ে গর্বের দিকে নিয়ে যাবে।”
বিপুল এই জয়ের প্রভাব যে জাতীয় রাজনীতিতেও পড়বে, সে ইঙ্গিত দিয়ে মমতা বলেন, “নিশ্চয়ই এটা জাতীয় রাজনীতির জন্যও বড় জয়। কারণ, অন্যান্য সর্বভারতীয় দলও এই ভোটে আমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় শামিল হয়েছিল। ওরা একসঙ্গে লড়েছে। বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম প্রত্যেকে লড়লেও মানুষ ওদের হারিয়ে দিয়েছে। এটাই মানুষের রায়।” এরপরই বিরোধীদের একযোগে তাঁর কটাক্ষ, “বিজেপি ভোকাট্টা, সিপিএম নো পাত্তা, কংগ্রেস স্যান্ডুইচ।” আগামী ২৩ তারিখ মেয়র পদে শপথ হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন মহারাষ্ট্র নিবাসে জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার পর মেয়রের নাম চূড়ান্ত করা হবে।
2. ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে বিজেপিকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল বাম। যদিও নতুন মুখ নয়, অভিজ্ঞ যোদ্ধাদের উপর ভরসা করেই ১৪৪ ওয়ার্ডের পুরসভায় মাত্র দু’টি আসন ঝুলিতে ভরেছে লাল ব্রিগেড। তবে ভোটপ্রাপ্তির হার খানিকটা অক্সিজেন যুগিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকে। হিসেব বলছে, কলকাতা পুরনির্বাচনে শুধু সিপিএমের প্রাপ্ত ভোটই বিজেপির চেয়ে বেশি। আর সম্মিলিতভাবে বামফ্রন্টের ভোট আরও বেশি – ১১.১৩ শতাংশ। অর্থাৎ পুরনির্বাচনের মার্কশিটে দ্বিতীয় বামফ্রন্ট। আর বিজেপি আটকে নয়ের কোটাতেই। তাদের প্রাপ্ত ভোট ৮.৯৪ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, অন্তত ৬৬ টি ওয়ার্ডের লড়াইয়ে সরাসরি দ্বিতীয় স্থানে বামেরা। পঞ্চাশের বেশি আসনে দ্বিতীয় বিজেপি।
তবে ২০১৫ সালের তুলনায় এবার লাল ব্রিগেড সত্যিই ফিকে। কারণ, সেবার ১৪৪ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টির দখল নিয়েছিল বামফ্রন্ট। আর এবার মাত্র ২। জিতেছেন ৯২ নং ওয়ার্ডের সিপিআই প্রার্থী মধুছন্দা দেব এবং ১০৩ নং ওয়ার্ডের নন্দিতা দাস। এই ফলাফল বামফ্রন্টের জন্য আশার আলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।