এই চিত্রনাট্যের কাহিনি ও সব চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের কোনও ঘটনা বা চরিত্রের সঙ্গে কোনও মিল খুঁজে পাওয়া গেলে, সেটি অনিচ্ছাকৃত ও কাকাতালীয়।
সচিবঃ স্যর, খগেন মান্না এসে গেছেন স্যর! আমাদের দলের নতুন অতিথি!
মন্ত্রীমশাই: উনি এসে গেছেন তা আমাকে আগে বলেননি কেন?
সচিব: কী করে বলব স্যর? আপনি তো এতক্ষণ দল পাল্টানোর ব্যাপারে নরেন হালদারের সঙ্গে কথা বলছিলেন!
মন্ত্রীমশাই: তো কী হয়েছে কি? খগেন মান্না গতকাল দল পাল্টে আমাদের দলে এসেছে, নরেন হালদার না’হয় দু’দিন পরে আমাদের দলে এসে ভিড়বে! সামান্য তুচ্ছ ব্যাপার! এ নিয়ে কুণ্ঠারও কিছু নেই, লজ্জারও কিছু নেই!
সচিব: সে তো বটেই লাজ লজ্জা থাকলে তো আর কেউই এই লাইনে আসে না!
মন্ত্রীমশাই: আহ্ বাজে বোকো না তো! কী বলছিলে সেটা বলো…
সচিব: বলছিলাম কী নরেন হালদারের সঙ্গে খগেন মান্নার আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক! কোনও একটা মিটিং-এ, খগেন মান্না’র ছেলে নরেন হালদারের ছোট ভাই-এর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। কোনও একটা জনসভায় তো হাতাহাতিও হয়েছিল!! তাই বলছিলাম কি দলে জয়েন করেই যদি দেখে যে, আপনি ওর রাইভালের-এর সঙ্গে দাঁত ক্যালাচ্ছেন, মানে হেসে কথা বলছেন, আর… মানে, তাহলে আরকি ইম্প্রেশন খারাপ হয়ে যাবে… এই আর কি!
মন্ত্রীমশাই: হুমম্! বুঝেছি! যাক গে যাক তুমি ওকে ডাকো!
খগেন: হেঁ হেঁ হেঁ হ্যাঁ দাদা যে…সক্কাল সক্কাল ঈশ্বর দর্শন! আমার যে আপনার সঙ্গে দেখা হবে এ আমি ভাবতেই পারিনি!
মন্ত্রীমশাই: আসুন আসুন, কি খাবেন বলুন! চা, কফি, হার্ড ড্রিঙ্কস নাকি কোকা-কোলা? যা বলবেন! আপনি হলেন আমাদের দলের নতুন অতিথি! তবে হ্যাঁ, একটা কথা, মাসখানেক আগে আপনি একটা জনসভায় আমাকে বাপ তুলে খিস্তিখাস্তা করেছেন! ওটা না করলেই পারতেন!! হেঁ হেঁ!!
খগেন: হেঁ হেঁ ওসব কথা মনে রাখতে নেই! ওই যে আপনি একটা টিভি চ্যানেলে আমাদের চোরের বংশধর বলে আমাকে গালাগাল দিয়েছিলেন সে কি আমি মনে রেখছি নাকি! ধুশ!
আমাদের মতো রাজনীতিকদের মনটা কিন্তু বড় রাখতে হয়, না হলে আপনি এখানে টিকতেই পারবেন না।
বাকিটা শুনুন উপরের প্লে বাটনে ক্লিক করে।
লেখা: সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়
পাঠ: সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কোরক সামন্ত
আবহ: শঙ্খ বিশ্বাস