ন্যাপলার সঙ্গে প্রেমিকার দেখা হয়নি আজ প্রায় আট মাস। কী আর করা যাবে? ‘সেক্স-চ্যাট’ই আপাতত অসহায়ের সহায়।
সদ্য লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে বুচকি নোয়াপাড়া টু নৈহাটিও গিয়েছে। তবে ওই যাওয়াই সার। ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি বিলকুল। এক পিস চুমুতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। তাও আবার কিনা কপালে!
মনীষা তো বিমানকে বলেই দিয়েছে ডায়রেক্ট, ‘প্যানডেমিক আপদ বিদায় না–নেওয়া ইস্তক শুকনো প্রেমই চলবে। ব্যাস!’
‘অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে পৃথিবীতে আজ…’
শারীরিক দূরত্ব যেখানে রেড সিগনালে আটকা, সেখানে শারীরিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ তোলাই বাহুল্য। অতঃকিম্, ঝোলা কাঁধে বুলাদি–বুলাদাদের বেরনো বন্ধ। নেই একদান লুডো খেলার সকরুণ আর্তি, নিষ্পাপ বায়নাক্কাও। আছে শুধু অন্ধকার। মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন নেই। অবণীরাও সব্বাই যে–যার বাড়িতে। হায় রে! আর এই আবহেই আরও একটা পয়লা ডিসেম্বর, আরেকটা ‘ওয়ার্ল্ড এডস ডে‘। আয়রনি বোধহয় একেই বলে? কী বলেন?
করোনা পর্বের স্বাস্থ্যবিধি বলছে, অন্তত ছ’ফুট দূরত্ব রাখতে হবে। এই পরিস্থিতিতে নিদেন জড়াজড়ি বা হাত ধরাধরিটুকুকেই যেখানে সি–অফ করে দিয়েছে বিশ্ববাসী, সেখানে বিছানা গরমের অবস্থা কি আর থাকে? বেচারা বিছানা…
বিছানার ‘বেচারাত্ব’ থাকুক বা না থাকুক, এইচআইভি বিষয়ক সতেচনতা প্রসারে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘ওয়ালর্ল্ড এডস ডে’। প্রতি বছরের মতো এ বছরও। বিশ্ব এডস দিবস ২০২০–র থিম: ‘এন্ডিং দ্য এইচআইভি/ এডস এপিডেমিক: রিসিলিয়েন্স অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট’। শিরোনাম শুনেই বুঝতে পারছেন, করোনার মতোই এডসও চিকিৎসাজগতে ‘মহামারী’ হিসাবেই গণ্য। পৃথিবী থেকে এইচআইভি নিকেশের মাধ্যমে রোগী ও তার পরিবারে প্রাণোচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার বার্তা দিচ্ছে এই থিম। আশ্বস্ত করছে ২০৩০–এর মধ্যে প্রত্যেক এডস আক্রান্তের কাছে জীবনদায়ী ‘অ্যান্টি–রেট্রোভাইরাল থেরাপি’ বা ‘আর্ট’ পৌঁছবে বলেও।
তবে করোনা, এডস–আক্রান্তদের সুস্থতার ট্র্যাকে ফেরানোর কার্যক্রমে অনেকটাই বাদ সেধেছে, দাবি ‘ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন’, বা ‘হু’-এর। এইচআইভি সংক্রমণ আটকানোর যে–কার্যক্রম, তার গতি বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে চলতি বছরে। থমকে গিয়েছে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৯০–৯০–৯০–এ পৌঁছনোর পরিকল্পনাও।
কী ছিল এই পরিকল্পনা?
লেখা: সোহিনী সেন
পাঠ: শ্যামশ্রী সাহা
আবহ: শঙ্খ বিশ্বাস