গার্লফ্রেন্ড গ্রাইমস–এর করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর কানাডিয়ান পপ সিঙ্গারটি তাতে বেজায় খুশি। ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে লিখেছেন: যাক বাবা, অবশেষে করোনা ধরা পড়ল। অসম্ভব উপভোগ করছি এই জ্বর। গ্রাইমস–এর বয়ফ্রেন্ডও করোনা পজিটিভ কি না নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। কিন্তু ইনিই সেই ব্যক্তি, যিনি সোল্লাসে, বিনা ভয়ে, দম্ভ ভরে বিশ্বকে বলতে পারেন: করেনাফরোনা সব ‘বোগাস’! ভাইরাসটিকে ‘ডাম্ব’ বলে দাগিয়ে দিতে পারেন। বুড়ো আঙুল দেখাতে পারেন লকডাউনকে; তাকে ‘অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখার ফিকির’ বলতে পারেন। এবং সোচ্চারে ঘোষণা করতে পারেন, করোনার ভ্যাকসিন বেরলেও তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ তা নেবেন না। এসবের জন্য কম বিতর্কে জড়াতে হয়নি তাঁকে।
কী? ভাবছেন তো? ভাবছেন তো, ‘বাপ্রে কি ডানপিটে ছেলে!–––/ কোন দিন ফাঁসি যাবে নয় যাবে জেলে।’ ভাবছেন তো, এত দম্ভ কোন হরিদাস পালের? আজ্ঞে হরিদাস পাল নয়, ইনি গৌরী সেন; তবে বাংলার নয়, সারা বিশ্বের। জেফ বোজাস, মার্ক জুকারবার্গকে পিছনে ফেলে এখন তিনি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি। ব্লুমস বার্গ বিলিওনেয়ার সূচক অন্তত তাই বলছে। ঠিক ধরেছেন, কথা হচ্ছে ইলন মাস্কের। স্পেস এক্স এবং টেসলা মোটর্স–এর সিইও ইলনের মোট সম্পদের অর্থমূল্য ১৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই মূহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় হটকেক ইলন–ই। সারা বিশ্ব যখন অতিমারীপর্বে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার শিকার, তখন গত বছর টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় আট গুণ! আআআআট গুণ! সেই দাম বাড়াকে ‘টু হাই’ লিখে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। অথচ একটা সময় অ্যাপার্টমেন্টে থাকার খরচ না–থাকায় দীর্ঘদিন অফিসের চেয়ারে রাত কাটাতেন এই ইলন!
আর এখন তাঁর একটা মাত্র আহ্বানে কয়েক ঘণ্টার মাথায় জুকারবার্গের কেনা সংস্থা হোওয়াটসঅ্যাপ ছেড়েছেন লক্ষাধিক। সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। পয়সা বোলতা হ্যায় বাপ, পয়সা বোলতা হ্যায়। একটামাত্র টুইট, দুটো মাত্র শব্দ: ইউজ সিগনাল। তার জেরেই এত। পয়সা ও প্রভাবের জোর ও জের কতটা––– ভাবতে পারছেন? তারপর শুনুন…
লেখা: সোহিনী সেন
পাঠ: শ্যামশ্রী সাহা,সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শঙ্খ বিশ্বাস
আবহ: শঙ্খ বিশ্বাস