ভালবাসা বড় বিষম বস্তু!
বস্তুবাদীরা যতই লম্ফঝম্প করুন না কেন একথা সবাই জানেন যে অর্থভাগ্য ভাল হলেই যে ভালবাসা বাধ্য ছেলেটির মতো আপনার হাতে এসে ধরা দেবে––– এমনটা নয়। সত্যি কথা বলতে কী, এই প্রক্রিয়াটার কোনও বিশেষ ব্যকরণ নেই। জীবনের কোন মুহূর্তে যে আপনি সেই সাতরাজার ধন এক মানিকের সন্ধান পাবেন কিংবা সেই অমৃতকুম্ভের খোঁজ মিলবে, কেউ জানে না! কেউ কেউ পেয়ে যায় অনায়াসে। আবার মাথা কুটে মরলেও কপালে জোটে না কারও কারও।
১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন’স ডে, ভালবাসা উদ্যাপনের সেই বিরল দিন। এই উদ্যাপন আর কিছুই না, আমাদের নিত্যিদিনের বেঁচে থাকাটাকে আরেকটু সুন্দর করে তোলার একটা পন্থা মাত্র।
টিম ‘শোনো’–র সঙ্গে নিজেদের ভালবাসা আর ভালথাকার মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিলেন টলিপাড়ার বিশিষ্ট শিল্পীরা।
তাঁদের কারও দেখা মিউজিক্যাল প্রজেক্টের কারণে। অথচ তাঁরা নাকি কেউই কাউকে প্রোপোজ করেননি! গান-বাজনা সংক্রান্ত আলোচনা প্রগাঢ় হতে হতেই একে অপরের প্রতি অনুভূতিটা আঁচ করতে পারেন। জড়িয়ে যান পরস্পরের সঙ্গে। অর্থাৎ, প্রেম যত না, তার চেয়ে অনেক বেশি তাঁদের সম্পর্ককে ধরে রেখেছে সংগীত।
কারও আবার পরস্পরের সঙ্গে দেখা নাটকের সেটে। মাঝে একবছর কোনও যোগাযোগ নেই। তারপর টুকটাক কথাবার্তা বাড়ে, গভীরতা তৈরি হতে থাকে সম্পর্কে এবং অনুভূত হয় ‘সোলমেট’ খুঁজে পাওয়ার আনন্দ। হোক না বিপরীত প্রান্তের মানুষটা একটু আনরোমান্টিক, ক্ষতি কী?
কেউ তো আবার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরও নাকি প্রোপোজ করে উঠতে পারেননি! বিয়ের পর এই পয়লা ভ্যালেন্টাইন কাটাতে চান কলকাতা থেকে দূরে কোনও নিরালায়।
আরেক দম্পতি আবার সে অর্থে তথাকথিত ভ্যালেন্টাইন কনসেপ্টে বিশ্বাসীই নন। অথচ ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁদের সম্পর্কের সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রথম একসঙ্গে কাজের অনুষঙ্গ হিসাবে।
ভ্যালেন্টানস ডে–র প্রাক্কালে সম্পর্কের গৌরচন্দ্রিকা শোনালেন ইমন চক্রবর্তী, সোহিনী সেনগুপ্ত, দেবলীনা কুমার, মানালি দে এবং অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। শুনলেন শ্যামশ্রী সাহা।
লেখা: শ্যামশ্রী সাহা
আবহ: শঙ্খ বিশ্বাস