থ্রিলার অথবা ভূতের সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গেলে, মূল যে সমস্যা, গল্পখানা বলে দিলে ‘স্পয়লার’ হয়। তাই গল্প গোপন রেখেই সিনেমা নিয়ে কথা বলাটাই নিয়ম বলে মান্য। ‘আমাজন প্রাইম’-এ সদ্য মুক্তি পাওয়া, ভূষণ কুমার এবং অক্ষয়কুমার প্রযোজিত হিন্দি ফিল্ম ‘দুর্গামতি’ নিয়ে কথা বললে, গল্পের মূল কাঠামোটুকু জানাই, তাতে তথকথিত স্পয়লার আসবেই। কারণ ফিল্মটি নতুন কিছুই নয়, জি অশোক, লিখিত-নির্দেশিত, অনুষ্কা শেট্টি অভিনীত বহুল আলোচিত তেলেগু-তামিল ফিল্ম ‘ভাগমতী’র অফিশিয়াল হিন্দি রিমেক। যার মূল চরিত্রে রয়েছেন, ভূমি পেডনেকর, এবং পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন, বাঙালির আদরের অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত।
কেমন হল এই সিনেমা? ১৫৫ মিনিট মানে প্রায় তিন ঘণ্টার কাছাকাছি, এই ছবি কি আদতে দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে? এই আমাদের প্রশ্ন এবং বলার বিষয়।
গল্পের মোদ্দা বিষয়, রাজ্যের নানা প্রাচীন মন্দির থেকে মূর্তি চুরি যাচ্ছে হামেশাই। সেসব মূর্তির ‘অ্যানটিক ভ্যালু’ নেহাত কম নয়। প্রায় পঁয়ত্রিশ বছরের রাজনীতিবিদ ঈশ্বর প্রসাদ, যার ভূমিকায় আরশাদ ওয়ারসি, তিনি সরকারের ওপর চাপ তৈরির জন্য ইস্তফা এবং রাজনীতি ত্যাগের কথা জানান। সরকার পক্ষ থেকে তাঁকে জব্দ করার জন্য, তাঁর প্রাক্তন সচিব, আইএএস চঞ্চল চৌহান যিনি এক খুনের অপরাধে জেলে বন্দী তাকে ‘আনফিশিয়ালি জিজ্ঞাসাবাদ’-এর বন্দোবস্ত করা হয়। সেই ভার যায়, শতাক্ষী গাঙ্গুলি নামের এক সিবিআই অফিসারের কাছে, যার চরিত্রে মাহি গিল। আর তাঁকে সহযোগিতা করতে আসেন, এসিপি অভয় সিং যাঁর ভাইকে খুনের অপরাধে চঞ্চল জেলবন্দী। এই এসিপি’র চরিত্রে যীশু সেনগুপ্ত। এই হল স্টারকাস্ট।
এই বাড়িতে থাকাকালীন চঞ্চলের ওপর ভর করে দুর্গামতি’র ভূত। যে কিনা প্রাচীন এক সাম্রাজ্যের রানী এবং এই হাভেলির মালকিন। আর তাঁকে ঘিরে ঘটতে থাকে নানা অদ্ভুত ঘটনা। ফ্ল্যাশব্যাকে আসতে থাকে গল্পের নানা সাবপ্লট। ভূতের উপদ্রব কমাতে প্রথমে আসেন, সাইকোলজিস্ট । তাঁকে চঞ্চল ওরফে দুর্গামতি নাস্তানাবুদ করলে, আসেন, একচক্ষু তান্ত্রিক। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়না।
তারপর? শুনুন…
লেখা: সুশোভন প্রামাণিক
পাঠ: শ্যামশ্রী সাহা