সদ্য মুক্তি পেয়েছে ক্রিস্টোফার নোলান-এর নতুন ছবি ‘টেনেট’। রবার্ট প্যাটিনসনের সঙ্গে ছবিতে স্ক্রিন ভাগ করে নিয়েছেন ডিম্পল কাপাডিয়াও। ‘টেনেট’–এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ শুট হয়েছে মুম্বইতে। এর আগে নোলানের ছবি ‘দ্য ডার্কনাইট রাইসেস’–এর একটি অংশ শুট হয় রাজস্থানের মেহেরগড় ফোর্টে। তবে এই প্রথম বলিউডের কোনও বড় মুখ দেখা যেতে চলেছে তাঁর ছবিতে।
বড় হলিউডি বাণিজ্যিক ছবির যে–বাজার ভারতীয় দর্শকমহলে রয়েছে, নোলানের ফ্যানবেস তার থেকে অনেকটাই আলাদা, বলাই বাহুল্য। অধিকাংশের কাছে নয়, বরং একটি বিশেষ শ্রেণির দর্শকের কাছেই নোলান ‘গুরুদেব’তুল্য হয়ে রয়ে গিয়েছেন। এর পিছনে অবশ্য সঙ্গত কারণও রয়েছে। একদা ‘ব্যাটম্যান বিগিনস’, ‘দ্য ডার্ক নাইট’, ‘দ্য ডার্কনাইট রাইসেস’, ‘ম্যান অফ স্টিল’–এর মতো তুমুল বাণিজ্যিক ছবি উপহার দেওয়া পরিচালক যত দিন গিয়েছে সরে এসেছেন বাজারি চাহিদা থেকে। সন্তর্পণে। দর্শকের বিনোদন নয়; তার বুদ্ধিমত্তাকে চাগাড় দেবে –– এমনই সব ছবিতে হাত পাকিয়েছেন। ‘ইনসেপশন’, ‘ইন্টাস্টেলার’, ‘ডানকার্ক’ যার অন্যতম উদাহরণ। তাই ডিস্ট্রিবিউটর মশাইরাও নোলানের ছবি নিয়ে বিশেষ একটা আশাবাদী হন না কখনওই। তাও, এই মন্দার বাজারেও, শহরের প্রায় ২৫টি প্রেক্ষাগৃহে সাড়ম্বরে মুক্তি পেয়েছে ‘টেনেট’। কেমন হল ছবিটি? ক্রিস্টোফারের গল্প বা কাপাডিয়া চমক কি মন কাড়ল দর্শকদের? নাকি নিজে হাতেই নিজে বরফ ফেললেন দশর্কের প্রত্যাশার পারদে?
এক বিশেষ ধরনের বুলেট যার প্রয়োগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মানুষের অতীতকে। এই বিশেষ বুলেটের নির্মাণ ভবিষ্যতের টাইমফ্রেমে –– যা কিনা বিপরীত সময়ের গতিতে বর্তমান সময়কে চালনা করতে সক্ষম। ভবিষ্যৎ, বর্তমান, অতীত –– এই তিন টাইমফ্রেমের মধ্যে চলতে থাকে ক্রিস্টোফার নোলানের ‘টেনেট’–এর গল্প। বাস্তবতা ও সময়ের বিভিন্ন স্তর নিয়ে বরাবরই খেলতে পছন্দ করেন আমেরিকান পরিচালক নোলান। তাঁর সাম্প্রতিকতম ছবি টেনেট–এও এই থিমটিই ফিরে এসছে আরও একবার।
আসুন, শুনে নেওয়া যাক…
লেখা: লাবণ্য দে
পাঠ: শ্যামশ্রী সাহা