একগামিতা–প্রধান ভারতীয় সমাজে যৌনতার বিষয়টি আজও ট্যাবু। বিয়ের আগে, আজও যেখানে মূলত বাড়ির অভিভাবকরাই শেষকথা, পাত্র–পাত্রীরা নন––– সেখানে ফ্রি সেক্স–বহুগামিতা নিয়ে আলোচনা খানিক সোনার পাথরবাটি বই তো নয়। অবশ্য শুধু ভারত বা উপমহাদেশই বা বলি কী করে, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স–সহ বিশ্বের অনেক দেশ––– যারা তথাকথিত শিক্ষার আলোকপ্রাপ্ত––– তারা অনেকেই যৌনতা নিয়ে আজও ক্লাসিক্যাল আদর্শে বিশ্বাসী। বন্দি ছুঁতমার্গের বেড়াজালে। অথচ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা যৌনস্বাধীনতা স্বতঃস্ফূর্ত আলিঙ্গনে আপন করে নিয়েছে। সেই মুক্তমনস্কতার পাঠ চট করে আমাদের পক্ষে নেওয়া অসম্ভব মনে হতে পারে, কিন্তু বিষয়গুলি রোমাঞ্চকর। ভাবনার তো বটেই।
শুনে নেব পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের অদ্ভুত যৌন আচারবিধির কথা।
‘ট্রাই বিফোর ইউ বাই’। এক্কেরে অক্ষরে অক্ষরে এই নিয়ম মেনে চলে ইরানের একটি জনগোষ্ঠী। বিয়ের আগে একটি অস্থায়ী বিয়ের আয়োজন করে তারা। এটি পরিচিত ‘নিকাহ মুতাহ’ নামে। নির্ধারিত সময়ের জন্য এই দাম্পত্যজীবন। স্পষ্টভাবে বলতে গেলে বিবাহপূর্বক নিভ ইন। এটা কখনও তিনদিনের হতে, কখনও বা এক বছরের।
পাপুয়া–নিউ গিনিতে বাস সাম্বিয়ান উপজাতির। সাত–দশ বছর হয়ে গেলেই কিশোর ছেলে–মেয়েদের পরস্পরের থেকে আলাদা করে দেয় পরিবার। সংশ্লিষ্ট সময়পর্বে মেয়েদের শরীরে অসংখ্য ছিদ্র করা হয়। নাক ফুটো করা হয় যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত পড়ে। এই নাক ফুটোর মাধ্যমে পড়া রক্ত আসলে তার কুমারীত্ব অবসানের রূপক। এরপর তাদের পান করতে হয় গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী যুবক বীরের বীর্য!
এই পাপুয়া–নিউ গিনিতে রয়েছে আরেক উপজাতি। নাম: ট্রোব্রিয়ান্ডার। সেখানকার নারী–পুরুষরা শৈশব থেকে সহবাস শুরু করে। আন্দাজ করতে পারেন কোন বয়স থেকে? ছেলেরা দশ–বারো বছর বয়স থেকে। আর মেয়েরা? মেয়েরা যৌনক্রিয়া শুরু করে ছ’য়ে পা দিতে না দিতেই!
আর? শুনুন…
লেখা: সোহিনী সেন
পাঠ: কোরক সামন্ত
আবহ: শঙ্খ বিশ্বাস