চলন্ত গাড়িতে প্রেম করবেন না। এমনই নিয়ম জারি করেছেন ক্যাব চালক। গাড়ির মধ্যেই লাগিয়ে রেখেছেন এই সংক্রান্ত একটি নোটিস। সেই ছবি দেখে বেজায় শোরগোল নেটপাড়ায়। নোটিসে ঠিক কী বলছেন ক্যাব চালক? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
একান্তে কিছুটা সময় কাটানো। তাতে যৌনতা থাকতেই হবে এমন মানে নেই। প্রয়োজন স্রেফ গোপনীয়তা। এক্ষেত্রে আদর্শ জায়গা হোটেল রুম হতেই পারে। কিন্তু সকলের তো সে সুযোগ নেই। তাই ভরসা ক্যাবের পিছনের সিট। কিন্তু এমনটা আর করা যাবে না। কারণ, যাত্রীদের প্রেমপ্রতিজ্ঞা ভাঙতে বিশেষ নোটিস জারি করেছেন এক ক্যাব চালক।
বাড়িতে কিছুই জানে না। এদিকে দুজনেই চুটিয়ে প্রেম করছেন। গল্পে, সিনেমায় এমন ঘটনা আখচার দেখা যায়। বাস্তবেও উদাহরণ কম নেই। এক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা হল জায়গার। মানে প্রেম করার জায়গা। ওয়ো, হোটেল রয়েছে ঠিকই। কিন্তু সকলের সেই সুযোগ থাকে না। তাঁদের জন্য প্রেম করার আদর্শ জায়গা হল, অন্ধকার সিনেমা হল কিংবা ফাঁকা ক্যাবের পিছনের সিট। সিনেমা হলে তাও অনেকে থাকে। ঠিকমত সিট না পেলে সমস্যা। সেদিক থেকে ক্যাব অনেক ভালো। সামনের সিটে চালক। পিছনের সিট পুরো ফাঁকা। শুনশান রাস্তায় কাচ তোলা গাড়িতে অনেকটা সময় কাটিয়ে নেওয়া। রাস্তায় ভিড় হলেও আপত্তি নেই। নিভৃতে সময় কাটানোই আসল কথা। কিন্তু এমনটা আর করা যাবে না। নিদান ক্যাব চালকের। গাড়ির ভিতরে এই মর্মে নোটিস টাঙিয়েছেন তিনি। সেখানে সাফ লিখেছেন, ‘গাড়িতে উঠে প্রেম করবেন না’। কটাক্ষ করে লিখেছেন, এটা গাড়ি। ওয়ো নয়। কাজেই এখানে বসতে হলে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যুগলদের উদ্দেশে তাঁর এই সাবধানবাণী ইতিমধ্যেই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। নানা মন্তব্য ভেসে এসেছে সেখানে। কেউ কেউ চালকের পক্ষ নিয়ে বলেছেন, এমনটাই করা উচিত। কেউ আবার এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।
আইনের চোখে, প্রকাশ্যে প্রেম অপরাধ নয়। যতক্ষন না সেটি অন্যের অস্বস্তির কারণ হচ্ছে। অনেকেই সেসব ভুলে জনসমক্ষে প্রেমে মেতে ওঠেন। তাঁদের আচরণ অনেক সময় যৌনতার ইঙ্গিতবাহীও হয়ে ওঠে। এতেই যত আপত্তি। মেট্রো বা সিনেমা হলে এমন কিছু হলে অন্যরা নিষেধ করেন। ক্যাবে কেউ বারণ করার নেই। তাই চালক স্বয়ং সে দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। গাড়িতে প্রেম কোনওভাবেই করা যাবে না, এমনটাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে এমনটা করলে ঠিক কী পদক্ষেপ করবেন তিনি সে ব্যাপারে কিছু লেখননি। তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও সেই অর্থে বিরূপ মন্তব্য করেননি নেটদুনিয়ার কেউ।