শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নিয়োগ জট কাটার ইঙ্গিত। আগামী ১লা ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হাতে আসবে নিয়োগপত্র। আশায় SLST চাকরিপ্রার্থীরা। আপার প্রাইমারিতে দ্রুত নিয়োগের দাবি। পুলিশের সঙ্গে বচসায় ডিএ আন্দোলনকারীরা।লোকসভা ভোটের আগে বাংলার ময়দানে সংঘের বিশেষ বাহিনী। সাংসদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামল INDIA। সাক্ষীর পর প্রতিবাদ বজরং-এর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 20 ডিসেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- বাংলার বকেয়া মেটানোর দাবিতে বৈঠকে মোদি-মমতা
বিস্তারিত খবর:
1. শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে স্বস্তিতে SLST চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার বিকাশ ভবনের বৈঠকে মিলল নিয়োগ জট কাটার ইঙ্গিত। আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার ডেডলাইনও স্থির হল। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ও কুণাল ঘোষের সঙ্গে SLST চাকরিপ্রার্থীদের প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে চাকরিপ্রার্থী মতিউর রহমান ১ ফেব্রুয়ারির কথা উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়, “১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটা জায়গায় যাব। আমরা আশা করছি এর মধ্যে ভালো ফল পাব। নিয়োগ পাব বলে আশা করছি। আইনি জটিলতা কীভাবে কাটবে সেটা সরকার দেখবে।” তিনি এও জানান, ওই সময়ের মধ্যেই জটিলতা কাটানোর জন্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। তবে এখনই ধরনা বন্ধ হচ্ছে না, এদিন একথাও সাফ জানিয়ে দেন চাকরিপ্রার্থীরা। বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য, “আন্দোলনকারীরা ন্যায্য দাবি তুলেছেন। আইনি পদ্ধতি নিয়ে মহামান্য আদালত যেভাবে বলবে। আমরা স্বচ্ছভাবে নিয়োগ দেব।” তবে ব্রাত্য এও জানিয়েছেন, কোনও নির্দিষ্ট দিন দেওয়া হয়নি।
2. আপার প্রাইমারী চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হাজরা মোড়। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনের ৫৫৫তম দিনে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে পথে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, মেধাতালিকার উপর ভিত্তি করে দ্রুত নিয়োগ হোক। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের আবেদন, আর যেন রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ করতে না হয়। তবে এদিনের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে, কেউ কেউ রাস্তায় শুয়ে পড়েন। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এদিন পুলিশের মারে কয়েকজন জখমও হয়েছেন। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকার নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, হাই কোর্টের অনুমতিতে নবান্নের উলটোদিকে ধরনায় ডিএ আন্দোলনকারীরা। তবে ধরনাস্থল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় বচসায় জড়ান তাঁরা। ধরনাস্থলে ঢাক পিটিয়ে, বাটি বাজিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। যা দেখে বাধা দিতে আসে পুলিশ। তখনই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যদিও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অভিযোগ, হাই কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্বেও ধরনায় বাধা দিচ্ছে পুলিশ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।