রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে সাজো সাজো রব অযোধ্যায়। বিশেষ দিনে সেজে উঠবে দেশের নানা প্রান্তও। তবে স্রেফ দেশ নয়, বিদেশের মাটিতেও হবে রাম মন্দির উদ্বোধনের উদযাপন। ঠিক কী অনুষ্ঠান হবে ভিনদেশে? আসুন শুনে নিই।
দীর্ঘ আন্দোলনের পর মিলেছিল বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির অনুমতি। তারপর থেকেই রামজন্মভূমিতে রামমন্দির প্রতিষ্ঠার দিকে নজর গোটা দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের। লোকসভা নির্বাচনের আগেই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকার কথা একাধিক নামীদামী ব্যক্তিত্বের। তালিকায় বিদেশি অভ্যাগতরাও রয়েছেন। তবে সাধারণ মানুষকে এইদিন অযোধ্যায় আসতে কার্যত নিষেধই করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কা থেকেই তাদের এই সতর্কবার্তা। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রামন মন্দির উদ্বোধনের দিনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে গেরুয়া শিবির। এবার জানা গেল, স্রেফ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত নয়, বিদেশের মানুষও রাম মন্দির উদ্বোধনের আনন্দে শামিল হওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন।
আরও শুনুন: রামলালার জন্য পোশাক বুনবে গোটা দেশ, অভিনব উদ্যোগ মহারাষ্ট্রে
২০২০ সালের ৫ অগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়ে যায় মন্দির নির্মাণের কাজ। ভক্তদের অনুদানের সুবাদে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনের চেয়েও বেশি অর্থ জমা পড়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টে। আর শুধু অর্থই নয়, আরও নানা কিছুই যোগ হয়েছে মন্দিরের সংগ্রহের তালিকায়। কেবল দেশ থেকেই নয়, বিদেশ থেকেও এমন কিছু জিনিস এসেছে মন্দিরের জন্য, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক বিচারে যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। একথা বলাই বাহুল্য, কর্মসূত্রে বিদেশে থাকলেও বেশ কিছু ভারতীয়র কাছে রাম মন্দির আবেগের জায়গা। এতদিনের আন্দোলন, বিতর্ক কাটিয়ে রাম মন্দিরের অন্দরে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা, এর থেকে আনন্দের কিছুই হতে পারে না তাদের কাছে। এদিকে ইচ্ছা থাকলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্বচক্ষে দেখার সুযোগ নেই। তাই এইদিন বাইক র্যালির ব্যবস্থা করেছে আমেরিকার রামভক্তরা। জানা গিয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসি শহরের হিন্দু আমেরিকান গ্রুপ এই বিশেষ কর্মসূচির ব্যবস্থা করেছে। সেখানকার জনপ্রিয় রাম মন্দির থেকে র্যালি শুরু হবে। স্রেফ ওই একদিন নয়, টানা একমাস কিছু না কিছু অনুষ্ঠান চলতেই থাকবে। অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিদেশে থাকা ১০০০-এরও বেশি ভারতীয় পরিবার। সবটাই হবে রাম কেন্দ্রিক। অর্থাৎ রামের ভজন, রাম লীলা অনুষ্ঠান, কীর্ত্তণ ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হবে রোজ। জন্মের পর থেকে রামের জীবন তুলে ধরা হবে নাটকের মাধ্যমে। সে দেশের খুদেরাই সেই অনুষ্ঠান করবে। এছাড়া বিভিন্ন সংস্কৃতি বা ভাষার মানুষ বিদেশে একসঙ্গে থাকেন। সেখানে তাঁদের একমাত্র মিল বলতে, জন্মভূমি ভারত। তাই বিভিন্ন ভাষাতেই হবে রাম বন্দনা। বিশেষ করে তামিল ভাষায় একাধিক রাম ভজনের ব্যবস্থা করেছে আমেরিকার ওই হিন্দু সংগঠন।সব মিলিয়ে বিদেশে থেকেও যেন রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আনন্দ সম্পূর্ণ উপভোগ করা যায়, সেই ব্যবস্থাই করেছে আমেরিকার রামভক্তরা।